গণহত্যা মামলার তদন্তে অনেক বেশি নাম থাকার কারণে কাজের গতি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। মঙ্গলবার (১০ জুন) গাজীপুরের গাছা থানা পরিদর্শনের পর তিনি এ কথা জানান।
তিনি জানান, সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের বিদেশ যাওয়ার কারণে বরখাস্ত হওয়া পুলিশ কর্মকর্তাদের বিষয়ে পুনর্বিবেচনা করা হবে। মামলার বাণিজ্য বন্ধ করতে ইতোমধ্যে অনলাইন মামলা পদ্ধতি চালু করা হয়েছে এবং সিলেটে এর কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
গত সোমবার (৯ জুন) রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানা পরিদর্শনে এসে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আরও জানান, সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি কারণ নির্দোষরা শাস্তি পাবে না। তবে অভিযোগ প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধেও পদক্ষেপ নেয়া হবে।
অন্যদিকে, সাবেক রাষ্ট্রপতির বিদেশ যাত্রা সংক্রান্ত ঘটনায় কিশোরগঞ্জের এসপি ও তদন্ত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে নেওয়া হয়েছিল যে ব্যবস্থা, সেগুলোরও তদন্ত চলছে বলে জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, গত রোববার (৮ জুন) রাতে থাই এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে থাইল্যান্ডে চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরেছেন সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। গত ৮ মে রাতে তিনি একই এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে ব্যাংককের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছাড়েন। তার বিদেশ যাত্রার তথ্য প্রকাশিত হলে দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা সৃষ্টি হয়। এতে ১০ জুন অন্তর্বর্তী সরকার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আওয়ামী লীগ ও তার নেতাদের বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত দলের সব কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করে।
গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার তীব্র আন্দোলনের ফলে শেখ হাসিনা ও তার দল আওয়ামী লীগ ক্ষমতাচ্যুত হলে দলটির বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী দেশ ছাড়লেও আবদুল হামিদ তখনও দেশে অবস্থান করছিলেন। ৯ মাস পর চিকিৎসার জন্য তিনি বিদেশ যান এবং সম্প্রতি দেশে ফিরে এসেছেন।
