বাগেরহাটের মোংলা পোর্ট পৌরসভায় পূর্ব বিরোধের জেরে যুবদল কর্মী রাহাত হোসেন মুন্নাসহ তিনজনকে কুপিয়ে আহত করেছে দুর্বৃত্তরা। মঙ্গলবার (১০ জুন) দুপুরে পৌরসভার পূর্ব পাশের একটি সড়কে এ নৃশংস হামলার ঘটনা ঘটে।
হামলায় গুরুতর আহত হন মুন্না, যাকে তাৎক্ষণিকভাবে মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। আহতদের মধ্যে বাকি দুজন স্থানীয়ভাবে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
হামলার পেছনে দীর্ঘদিনের বিরোধ
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কানাইনগর এলাকার কিছু যুবকের সঙ্গে ব্যবসায়িক বিরোধ চলছিল রাহাত হোসেন মুন্নার। সোমবার সন্ধ্যায় বিষয়টি মীমাংসার মাধ্যমে নিষ্পত্তি হয় বলে জানা গেলেও, পরদিন দুপুরে অতর্কিতভাবে ২৫-৩০ জনের একটি সংঘবদ্ধ সশস্ত্র দল হামলা চালায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঘটনার সময় মুন্না ও তার কয়েকজন বন্ধু সড়কে দাঁড়িয়ে কথা বলছিলেন। এ সময় দুর্বৃত্তরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়ে মুন্নাকে গুরুতর জখম করে। তাকে রক্ষা করতে গেলে রাশেদসহ আরও দুজন আহত হন।
শহরে বাড়তি নিরাপত্তা, পুলিশের নজরদারি
হামলার পর পুরো মোংলা শহরে চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পৌরসভার গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পাশাপাশি নৌবাহিনীর একটি টিমও টহলে রয়েছে।
মোংলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) মানিক চন্দ্র গাইন জানান, “মোংলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি দীর্ঘদিন ধরে স্থিতিশীল ছিল। এই আকস্মিক হামলা উদ্বেগজনক। ঘটনার পরই নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। আহত যুবদল কর্মীর পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি চলছে।”
আক্রান্ত যুবদল কর্মীর পরিচয়
আহত রাহাত হোসেন মুন্না মোংলা পৌরসভার গিয়াস উদ্দিন সড়কের বাসিন্দা ও মৃত জসিম উদ্দিনের ছেলে। তিনি স্থানীয় যুবদলের সক্রিয় কর্মী হিসেবে পরিচিত।
