ফরিদপুরে বেপরোয়া বাইকচালকের ধাক্কায় প্রাণ গেল ৭ বছরের শিশু মিমের, উত্তপ্ত এলাকায় সংঘর্ষ

ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলায় ঘটে গেছে এক হৃদয়বিদারক দুর্ঘটনা। মাত্র সাত বছর বয়সী তাহমিদা আক্তার মিম, দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী, বখাটে এক মোটরসাইকেল চালকের বেপরোয়া গতির শিকার হয়ে প্রাণ হারিয়েছে। মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনার সাক্ষী হয়েছেন শিশুটির বাবা-মাও।

কী ঘটেছিল সেই বিকেলে?

সোমবার (৯ জুন) বিকেলে ভাঙ্গা উপজেলার আলগী ইউনিয়নের নাওরা গ্রামে, বাড়ির সামনে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে ছিল ছুলনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মিম। ঠিক তখনই রবি মুন্সি নামের এক যুবক, স্থানীয় কাশেম মুন্সীর ছেলে, দ্রুতগতিতে মোটরসাইকেল চালিয়ে এসে মিমকে সজোরে ধাক্কা দেয়। দুর্ঘটনার পরপরই শিশুটিকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।

চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু

দুর্ভাগ্যজনকভাবে মঙ্গলবার (১০ জুন) সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাহমিদা আক্তার মিম মারা যায়। রাতে পারিবারিক কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন হয়।

মৃত্যুর পর সহিংসতা, ভাঙচুর, আহত ১০

মিমের মৃত্যু সংবাদ এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে উত্তেজনা দেখা দেয়। অভিযোগ রয়েছে, নিহতের বাবা রিফাত আলীর দলের লোকজন ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালামের অনুসারীরা ক্ষুব্ধ হয়ে দুর্ঘটনার জন্য দায়ী মোটরসাইকেল চালক মিন্টুর বাড়িসহ প্রায় ১৫টি বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর চালায়। এ সময় কমপক্ষে ১০ জন আহত হন।

পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে

এ বিষয়ে ভাঙ্গা থানার এসআই রতন জানান, “ঘটনার পর ওসি স্যারের নেতৃত্বে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। বর্তমানে এলাকাজুড়ে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। দুই পক্ষের অনেকে গা ঢাকা দিয়েছেন, তবে পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে ও শান্ত রয়েছে।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *