দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ফের বাড়তে থাকায় হাসপাতালগুলোতে সীমিত আকারে করোনা পরীক্ষার ব্যবস্থা পুনরায় চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। প্রাথমিকভাবে যেসব মেডিকেল কলেজ ও জেলা হাসপাতালে RT-PCR ল্যাব রয়েছে, সেখানে পরীক্ষাসেবা চালু করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
করোনা প্রতিরোধে ফেস মাস্ক ব্যবহারের সঠিক নিয়ম
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সংক্রমণ রোধে ফেস মাস্কের সঠিক ব্যবহার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী মাস্ক ব্যবহারের কিছু গুরুত্বপূর্ণ নিয়ম নিচে তুলে ধরা হলো:
১. সার্জিক্যাল মাস্ক ব্যবহারে অগ্রাধিকার
বাজারে বিভিন্ন ধরনের মাস্ক থাকলেও বহুস্তরবিশিষ্ট সার্জিক্যাল মাস্ক সবচেয়ে কার্যকর। এটি ওয়ানটাইম ব্যবহারযোগ্য এবং ফিল্টারিং ক্ষমতা বেশি। এক লেয়ারের মাস্ক ব্যবহারের ফলে সুরক্ষা নিশ্চিত হয় না।
২. সঠিকভাবে মাস্কের দিক নির্ধারণ
সার্জিক্যাল মাস্কের সাদা অংশ ফিল্টার হিসেবে কাজ করে, যা জীবাণু আটকে রাখে। যারা সুস্থ এবং প্রতিরোধমূলকভাবে মাস্ক পরছেন, তাদের উচিত সাদা দিকটি বাইরে রেখে ব্যবহার করা। অন্যদিকে, যাদের জ্বর, সর্দি বা কাশি রয়েছে, তাদের নীল অংশটি বাইরে রেখে মাস্ক ব্যবহার করা উচিত যাতে জীবাণু বাইরে না ছড়ায়।
৩. নাক-মুখ ঢেকে সঠিকভাবে মাস্ক পরা
অনেকেই মাস্ক পরে নাক খোলা রেখে শুধু মুখ ঢেকে রাখেন, যা অকার্যকর। মাস্কের উপরের ধাতব অংশটি নাকের সঙ্গে চেপে বসাতে হবে এবং নিচের অংশটি থুতনির নিচে রাখার মাধ্যমে সম্পূর্ণ মুখ ঢেকে রাখতে হবে।
৪. মাস্ক ব্যবহারে সচেতনতা
অনেক সময় মানুষ মাস্ক নামিয়ে কথা বলেন বা তা গলায় ঝুলিয়ে রাখেন, যা বিপজ্জনক। এতে মাস্কে থাকা জীবাণু সহজেই নাক-মুখে প্রবেশ করতে পারে।
৫. পুনঃব্যবহার নয়, নিয়মিত বদলানো প্রয়োজন
একটি সার্জিক্যাল মাস্ক সর্বোচ্চ একবারই ব্যবহারযোগ্য। দীর্ঘদিন ধরে একই মাস্ক ব্যবহার করলে সংক্রমণের ঝুঁকি অনেকগুণ বেড়ে যায়। ব্যবহারের পর মাস্ক যথাযথভাবে ধ্বংস করে ফেলা উচিত।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের বার্তা
স্বাস্থ্য অধিদফতর জানিয়েছে, নতুন করে সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে আবারও করোনা পরীক্ষা শুরু করা হচ্ছে। সাধারণ জনগণকে সতর্কতা অবলম্বনের পাশাপাশি মাস্ক ব্যবহারে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।