ট্রাম্প প্রশাসনের নীতির বিরুদ্ধে শুরু হওয়া আন্দোলন এখন আর শুধু লস অ্যাঞ্জেলেসেই সীমাবদ্ধ নয়। প্রতিবাদের ঢেউ ছড়িয়ে পড়েছে নিউইয়র্ক, ওয়াশিংটন ডিসি, শিকাগোসহ যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শহরে। চলমান বিক্ষোভের ষষ্ঠ দিনে বুধবার (১১ জুন) দেশব্যাপী একাত্মতা প্রকাশ করে হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নেমে আসেন।
📍 আন্দোলনের গতি ও প্রতিক্রিয়া
📅 ‘নো কিং’ নামে আসন্ন দেশব্যাপী বিক্ষোভ
শনিবার (১৫ জুন) যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে আয়োজন করা হয়েছে ‘No King National Protest’ নামে একটি বিশাল বিক্ষোভ কর্মসূচি। আয়োজকরা দাবি করছেন, এটি হতে পারে এখন পর্যন্ত দেশটির সবচেয়ে বড় গণজমায়েত। বিক্ষোভটি রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার অপব্যবহার, নাগরিক অধিকার হরণ ও সামরিক হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে উৎসর্গীকৃত।
🗣️ ক্যালিফোর্নিয়ার শক্ত অবস্থান
আন্দোলনের সূচনালগ্ন থেকেই ক্যালিফোর্নিয়ার জনপ্রতিনিধিরা ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে স্পষ্ট অবস্থান নিয়েছেন। বুধবার, অঙ্গরাজ্যটির ৩০ শহরের মেয়রদের নিয়ে অনুষ্ঠিত এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে লস অ্যাঞ্জেলেসের মেয়র কারেন ব্যাস সেনা প্রত্যাহার ও অভিবাসীবিরোধী অভিযান বন্ধের আহ্বান জানান। তার ভাষায়, “সাধারণ মানুষ সেনা মোতায়েন দেখে আতঙ্কিত। এটা গণতন্ত্রের পথে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করছে।”
⛔ লস অ্যাঞ্জেলেসে কারফিউ ও গণগ্রেফতার
লস অ্যাঞ্জেলেসে সহিংসতা ও লুটপাট রুখতে কর্তৃপক্ষ কারফিউ জারি করেছে। মেয়র অফিস জানিয়েছে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসা পর্যন্ত কারফিউ অব্যাহত থাকবে। প্রথম দিন বড় ধরনের সংঘর্ষ না হলেও মঙ্গলবার পর্যন্ত ৩০০ জনের বেশি বিক্ষোভকারী গ্রেফতার হয়েছেন।
🎖️ সেনাবাহিনীর প্রশিক্ষণ ও তৎপরতা
মার্কিন সেনাবাহিনীর একজন মুখপাত্র জানান, লস অ্যাঞ্জেলেসে মোতায়েন করা প্রায় ৫০০ ন্যাশনাল গার্ড সদস্যকে অভিবাসন কার্যক্রমে সহায়তার জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। এতে মেরিন সেনাদের অংশগ্রহণও ছিল বলে জানানো হয়।