শিশুর মানসিক, সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক বিকাশে পারিবারিক পরিবেশ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে যৌথ পরিবারে বেড়ে ওঠা শিশুর জন্য ভালো না খারাপ—তা নির্ভর করে পারিবারিক পরিবেশ, সদস্যদের আন্তঃসম্পর্ক এবং শিশুর প্রতি মনোযোগ ও যত্নের ওপর। চলুন দেখে নেওয়া যাক যৌথ পরিবারে বসবাসের কিছু গুরুত্বপূর্ণ ইতিবাচক ও নেতিবাচক দিক।
✅ যৌথ পরিবারের ইতিবাচক দিক
১. সামাজিকতা ও মূল্যবোধের শিক্ষা
যৌথ পরিবারে একাধিক প্রজন্মের সঙ্গে মিশে থাকতে গিয়ে শিশুরা সহজেই সহনশীলতা, সম্মানবোধ, পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও সামাজিক আচরণ শিখে নেয়।
২. সর্বক্ষণিক নিরাপত্তা ও যত্ন
যেখানে বাবা-মা কর্মব্যস্ত, সেখানে দাদা-দাদি বা চাচা-চাচিরা শিশুর দেখভালে সহায়তা করতে পারেন। এতে শিশুর নিরাপত্তা ও যত্নের ঘাটতি হয় না।
৩. সহানুভূতি ও শেয়ারিং শেখা
ভাগাভাগির পরিবেশে বড় হওয়ায় শিশুরা ছোটবেলা থেকেই সহানুভূতি, সহযোগিতা ও শেয়ারিং-এর মানসিকতা গড়ে তোলে।
৪. সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের সংস্পর্শ
বয়োজ্যেষ্ঠদের উপস্থিতিতে শিশু সহজেই ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক শিক্ষা লাভ করে, যা তাদের পরিচয় নির্মাণে ভূমিকা রাখে।
❌ যৌথ পরিবারের চ্যালেঞ্জ
১. স্বাধীন মতপ্রকাশে বাধা
বিভিন্ন সদস্যের একসঙ্গে মত প্রকাশের কারণে শিশুর স্বাধীন চিন্তাধারা ও মতপ্রকাশ বাধাগ্রস্ত হতে পারে।
২. পারিবারিক দ্বন্দ্বের নেতিবাচক প্রভাব
যদি পরিবারে কলহ বা মতবিরোধ চলমান থাকে, সেটি শিশুর মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
৩. অতিরিক্ত তুলনা ও প্রতিযোগিতা
একই ছাদের নিচে অনেক শিশুর বেড়ে ওঠার ফলে তুলনার পরিবেশ তৈরি হয়, যা আত্মবিশ্বাস নষ্ট করতে পারে।
৪. আবেগ ও মনোযোগের ঘাটতি
বড় পরিবারের ব্যস্ততায় শিশুর ব্যক্তিগত চাহিদা বা সংবেদনশীল বিষয়গুলো অনেক সময় উপেক্ষিত হতে পারে।