২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে তিন ফরম্যাটেই জাতীয় দলের অধিনায়কত্ব পেয়েছিলেন বাঁহাতি ব্যাটার নাজমুল হোসেন শান্ত। তবে খুব বেশি দিন তিন ফরম্যাটে অধিনায়কের ভূমিকায় থাকতে পারেননি তিনি। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ২০২৪ শেষে এই সংক্ষিপ্ত ফরম্যাট থেকে সরে দাঁড়ান শান্ত, তবে এখনো ওয়ানডে ও টেস্টে নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন টাইগারদের।
কেন ছাড়লেন টি-টোয়েন্টির দায়িত্ব?
আজ (বৃহস্পতিবার) মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন শান্ত। আসন্ন শ্রীলঙ্কা সফর এবং বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের নতুন চক্র নিয়ে কথা বলতে গিয়ে তিনি নিজের টি-টোয়েন্টি অধিনায়কত্ব ছাড়ার কারণও স্পষ্ট করেন।
শান্ত বলেন,
“আমি নিজেই বোর্ডকে জানিয়েছিলাম যে, টি-টোয়েন্টি নেতৃত্বে থাকতে চাই না। কারণ, আমি এখন ব্যাটিংয়ে আরও বেশি মনোযোগ দিতে চাই। এত ম্যাচের ভিড়ে নিজের উপর কাজ করার সময় পাচ্ছিলাম না। তাই চেয়েছিলাম যাতে ব্যাটিংয়ে আরও ভালোভাবে অবদান রাখতে পারি।”
নতুন টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক লিটন দাস
শান্তর নেতৃত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর পর, লিটন দাসকে টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক হিসেবে স্থায়ীভাবে নিয়োগ দেয় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। এর আগে, ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে তিনি অন্তর্বর্তীকালীন দায়িত্বে ছিলেন এবং বাংলাদেশকে সিরিজে হোয়াইটওয়াশ এনে দিয়েছিলেন। আগামী ২০২৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে লিটনের নেতৃত্বেই মাঠে নামবে টাইগাররা।
শান্ত এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে বলেন,
“প্রত্যেক অধিনায়ক যদি দীর্ঘমেয়াদে দায়িত্ব পায়, তাহলে পরিকল্পনা করা অনেক সহজ হয়। হোক সেটা একটি বিশ্বকাপ হোক বা টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ। আমি নিজেও দেড় বছর ধরে টেস্ট ও ওয়ানডে দলের নেতৃত্বে আছি এবং বোর্ডের সঙ্গে পরিকল্পনা করতে পেরে ভালো লাগছে।”
ভবিষ্যতের লক্ষ্য ও টেস্টে প্রস্তুতি
আসছে ১৭ জুন গল আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম টেস্টে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। এই সিরিজ দিয়ে নতুন ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের চক্র শুরু হবে টাইগারদের। শান্ত জানান, দীর্ঘমেয়াদি অধিনায়কত্ব তাকে দল গঠনে সুবিধা দিচ্ছে।
তিনি বলেন,
“কোন কন্ডিশনে কারা খেলবে, ব্যাটিং পজিশন কী হবে — এসব এখন আরও স্পষ্টভাবে পরিকল্পনা করতে পারছি। টেস্টে ইতোমধ্যে ভালো শুরু হয়েছে, ওয়ানডেতেও সেভাবে পরিকল্পনা করব।”