মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে। ইসরায়েলি বিমান হামলায় ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পস (IRGC)-এর শীর্ষ কর্মকর্তারা প্রাণ হারিয়েছেন। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন আইআরজিসির কমান্ডার ইন চিফ জেনারেল হোসেইন সালামি, এয়ারফোর্স কমান্ডার আমির আলী হাজিজাদেহ এবং সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান মেজর জেনারেল মোহাম্মদ বাঘেরি। হামলায় কমপক্ষে ২০ জন সিনিয়র সামরিক কর্মকর্তা ও বিজ্ঞানী নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
📍 তেহরানে সরাসরি হামলা
শুক্রবার (১৩ জুন) ভোররাতে ইসরায়েল তেহরানসহ ইরানের একাধিক স্থানে বিমান হামলা চালায়। দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন নিশ্চিত করেছে, তেহরানে অবস্থিত আইআরজিসির সদর দপ্তরে হামলা চালানো হয়, যেখানে জেনারেল হোসেইন সালামি অবস্থান করছিলেন।
☢️ পরমাণু বিজ্ঞানীদের মৃত্যু
হামলায় ইরানের ছয়জন পরমাণু বিজ্ঞানীর মৃত্যুর বিষয়টিও নিশ্চিত করেছে কর্তৃপক্ষ। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন:
- ফেরেয়দুন আব্বাসি – ইরানের পারমাণবিক শক্তি সংস্থা AEOI-এর সাবেক প্রধান
- মোহাম্মদ মাহদি তেহরানচি – ইসলামিক আজাদ ইউনিভার্সিটির প্রেসিডেন্ট, পারমাণবিক কর্মসূচির সঙ্গে যুক্ত
- আব্দোলহামিদ মিনৌচেহর, আহমাদ রেজা জোলফাঘারি, আমিরহোসেইন ফেকহি – শহীদ বেহেশতি ইউনিভার্সিটির শিক্ষক
- ষষ্ঠ বিজ্ঞানীর নাম প্রকাশ করা না হলেও পদবি জানা গেছে: মোতাল্লেবিজাদেহ
🕵️ মোসাদের ড্রোন ঘাঁটি ও ভবিষ্যৎ নিরাপত্তা হুমকি
এর আগে খবর পাওয়া যায়, ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ গোপনে ড্রোন ঘাঁটি তৈরি করেছিল ইরানে, যা হয়তো এই হামলার পূর্বপ্রস্তুতি হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে। হামলার পর ইসরায়েল বিশ্বজুড়ে তার দূতাবাসগুলো সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করেছে।
🌍 আন্তর্জাতিক উদ্বেগ ও পরিণতি
এই হামলার ফলে মধ্যপ্রাচ্যে সামরিক উত্তেজনা আরও বাড়তে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে এই সংঘাত আঞ্চলিক নিরাপত্তাকে ঝুঁকির মুখে ফেলতে পারে এবং এটি বৃহত্তর সংঘাতে রূপ নিতে পারে।