এই তীব্র তাপদাহে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে শিশুরা, যাদের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা তুলনামূলকভাবে কম। শিশুদের মধ্যে জ্বর, কাশি, ঠান্ডা, ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া ও চর্মরোগ স্ক্যাবিস (খোসপাঁচড়া) এর মতো সংক্রমণের হার কয়েকগুণ বেড়ে গেছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
👶 শিশুরা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে
ঢাকার শিশু হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা আড়াই বছরের শিশু কাইফ জ্বর, কাশি এবং খোসপাঁচড়ায় আক্রান্ত। তার মা জানান, “চুলকানি ও জ্বালাপোড়ায় বাচ্চা খুব কষ্ট পাচ্ছে, গরমে অবস্থা আরও খারাপ হয়েছে।”
কাইফের মতো অসংখ্য শিশুই দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে রাজধানীর শ্যামলীর বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটে চিকিৎসা নিতে আসছে। রোগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
🩺 চিকিৎসকদের পরামর্শ
বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটের মেডিকেল অফিসার ডা. মো. মেহেদী হাসান অমি বলেন, “এই গরমে শিশুরা জ্বর, কাশি ও পানিশূন্যতাজনিত অসুস্থতায় ভুগছে বেশি। শিশুদের নিয়মিত পানি ও তরল খাবার খাওয়াতে হবে। তারা সাধারণত কম খায়, তাই বারবার অল্প করে তরল খাওয়ানোর পরামর্শ দিচ্ছি।”
🌡️ আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস
আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, বাতাসে জলীয়বাষ্পের পরিমাণ বেশি থাকায় প্রকৃত তাপমাত্রার চেয়ে গরম বেশি অনুভূত হচ্ছে। তবে স্বস্তির খবর হলো, আগামী ১৬ জুন (সোমবার) থেকে সারাদেশে বৃষ্টিপাত শুরু হতে পারে, যা ২২ জুন পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। এতে গরম কিছুটা কমে আসবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।