বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, লন্ডনে দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ও প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ঐতিহাসিক বৈঠক প্রমাণ করেছে, প্রয়োজনের সময় দেশের মানুষ একত্রিত হতে পারে।
শুক্রবার (১৩ জুন) রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
🔹 জাতীয় ঐক্যের বার্তা দিয়েছেন দুই নেতা
মির্জা ফখরুল বলেন, “আজকের এই বৈঠক দেখিয়ে দিয়েছে—যখন প্রয়োজন পড়ে, তখন বাংলাদেশ একসাথে এগিয়ে যেতে পারে। নেতারা দায়িত্ব নিয়ে জাতিকে দিকনির্দেশনা দিতে পারেন।”
তিনি জানান, তারেক রহমান ও ড. ইউনূসের বৈঠকটি রাজনৈতিকভাবে একটি টার্নিং পয়েন্ট। বৈঠক শেষে প্রকাশিত যৌথ ইশতেহারে সুস্পষ্টভাবে উঠে এসেছে, আলোচনাটি হয়েছে অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ ও গঠনমূলক পরিবেশে।
🔹 নির্বাচন ছিল বৈঠকের মূল আলোচ্য বিষয়
বিএনপি মহাসচিব বলেন, “আসন্ন জাতীয় নির্বাচন নিয়েই ছিল দুই নেতার মূল আলোচনা। তারেক রহমান প্রস্তাব দিয়েছেন, নির্বাচন পূর্বঘোষিত এপ্রিল নয় বরং ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে আয়োজন করাই হবে অধিক উপযুক্ত।”
তিনি আরও জানান, এই প্রস্তাবে প্রধান উপদেষ্টা ইউনূস একমত পোষণ করেছেন এবং জাতির সামনে একটি বাস্তবসম্মত নির্বাচনী সময়সীমা উপস্থাপন করা হয়েছে।
🔹 ‘রাষ্ট্রনায়কসুলভ’ নেতৃত্বের প্রশংসা
মির্জা ফখরুল বলেন, “ড. ইউনূস অত্যন্ত বিচক্ষণতার পরিচয় দিয়ে বৈঠকের উদ্যোগ নিয়েছেন। তার আহ্বানেই অনিশ্চয়তার ধোঁয়াশা কেটে গিয়ে দেশের রাজনীতিতে একটি নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “তারেক রহমান আবারও প্রমাণ করলেন যে, তার মধ্যে রাষ্ট্রনায়কের গুণাবলি রয়েছে। পুরো জাতি যেই বৈঠকের জন্য অপেক্ষায় ছিল, সেটি সফলভাবে সম্পন্ন করে তিনি জাতির আস্থা অর্জন করেছেন।”