দুধকে দীর্ঘদিন ধরে পুষ্টির সম্পূর্ণ উৎস হিসেবে ধরা হয়। চিকিৎসকরাও নিয়মিত দুধ খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন হাড় ও শরীরের সামগ্রিক সুস্থতার জন্য। তবে রূপচর্চা বা ত্বকের যত্নের ক্ষেত্রে দুধ সবসময় উপকারী নাও হতে পারে—বিশেষজ্ঞদের মতে, দুগ্ধজাত খাবার ত্বকে ব্রণ, র্যাশ ও সংবেদনশীলতার ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
🔍 দুধ কীভাবে ত্বকে বিরূপ প্রভাব ফেলে?
১. হরমোন ভারসাম্য নষ্ট করে
দুধ ও দুগ্ধজাত খাবারে থাকা প্রোটিন ইনসুলিনের নিঃসরণ বাড়িয়ে তোলে। এর ফলে প্রোল্যাক্টিন, প্রোস্টাগ্লান্ডিনস ও স্টেরয়েড জাতীয় হরমোনের ভারসাম্য বিঘ্নিত হয়। অনেক সময় গরুর দুধ উৎপাদনে ব্যবহৃত হয় হরমোন-উদ্দীপক ওষুধ, যা শরীরে প্রবেশ করে সেবাম নিঃসরণ বাড়ায়। এর ফলেই মুখে ব্রণ ও র্যাশ দেখা দিতে পারে।
২. প্রক্রিয়াজাত দুধ বাড়ায় ত্বকের প্রদাহ
বেশিরভাগ দুধ বা দুধ-জাতীয় খাদ্যপণ্য প্রক্রিয়াজাত হওয়ায় তা শরীরের ইনসুলিন ভারসাম্য বিঘ্নিত করে। ইনসুলিনের মাত্রা বেড়ে গেলে ত্বকে বিভিন্ন ধরনের প্রদাহ সৃষ্টি হয়—যেমন:
- ব্রণ (Acne)
- রোসাসিয়া (Rosacea)
- এগজিমা (Eczema)
- একান্থোসিস নাইগ্রিকানস (Acanthosis Nigricans)
এছাড়াও অতিরিক্ত শুষ্ক ত্বক থেকে ঘা পর্যন্ত হতে পারে।
৩. ল্যাক্টোজ ইনটলারেন্স ও ত্বকের সংবেদনশীলতা
অনেকেই আছেন, যাদের শরীর ল্যাক্টোজ নামক শর্করা হজম করতে পারে না। এই সমস্যা থেকে হয় ল্যাক্টোজ ইনটলারেন্স, যার কারণে দুধ খাওয়ার পর শরীরে এলার্জি, ফুসকুড়ি বা ত্বকের অতিরিক্ত সংবেদনশীলতা দেখা দেয়।
⚠️ সতর্কতা জরুরি
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সবাই দুধ খেলে এমন সমস্যা ভোগ করেন না। তবে যাদের ত্বক আগে থেকেই সংবেদনশীল কিংবা ব্রণের সমস্যা রয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে দুগ্ধজাত খাবার এ সমস্যাকে আরও বাড়িয়ে দিতে পারে।