“বাবা”—মাত্র একটি ছোট শব্দ, কিন্তু এর গভীরতা মাপার উপায় নেই। ভালোবাসা, নির্ভরতা আর আত্মত্যাগের এক অনন্য প্রতিচ্ছবি এই শব্দটির মধ্যেই লুকিয়ে আছে। প্রতি বছর জুন মাসের তৃতীয় রোববার বিশ্বব্যাপী পালিত হয় ‘বিশ্ব বাবা দিবস’, আর সেই অনুযায়ী আজ, ১৫ জুন রোববার, উদযাপিত হচ্ছে এই বিশেষ দিনটি।
🔹 পিতৃত্বের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর দিন
বিশ্ব বাবা দিবস মূলত একটি আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত দিন, যা বাবা এবং পিতৃত্বকে সম্মান জানানোর জন্য পালিত হয়। মায়েদের পাশাপাশি বাবারাও যে সন্তানের লালন-পালন, শিক্ষা ও মানসিক বিকাশে সমানভাবে দায়িত্বশীল—সেই বার্তা দিতেই এই দিবসের সূচনা।
🔹 ইতিহাসের পাতা থেকে
- ১৯০৮ সালের ৫ জুলাই, যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিম ভার্জিনিয়ার ফেয়ারমন্ট অঞ্চলের একটি গির্জায় প্রথম আনুষ্ঠানিকভাবে পালিত হয় বাবা দিবস।
- একই সময়ে ওয়াশিংটনের এক নারী সনোরা স্মার্ট ডড গির্জার এক ধর্মযাজকের বক্তব্যে অনুপ্রাণিত হয়ে তার একক উদ্যোগে ১৯ জুন ১৯১০ সালে বাবার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে দিবসটি পালন করেন।
ডডের বাবা একজন যোদ্ধা ছিলেন, যিনি স্ত্রী মারা যাওয়ার পর একাই সন্তানদের মানুষ করেন। বাবার প্রতি গভীর ভালোবাসা থেকেই ডড এ দিবসটি পালনের প্রস্তাব দেন।
🔹 শুরুতে অবজ্ঞা, পরে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি
প্রথম দিকে বাবা দিবসের গুরুত্ব সাধারণ মানুষের মধ্যে তেমনভাবে স্থান পায়নি। অনেকেই এটিকে মজার ও অপ্রয়োজনীয় বলে মনে করতেন। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে দৃষ্টিভঙ্গি বদলায়।
- ১৯১৩ সালে মার্কিন কংগ্রেসে বাবা দিবসকে ছুটির দিন হিসেবে ঘোষণা করতে বিল উত্থাপন করা হয়।
- ১৯২৪ সালে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ক্যালভিন কুলিজ বিলটিতে সমর্থন দেন।
- অবশেষে ১৯৬৬ সালে, প্রেসিডেন্ট লিন্ডন বি. জনসন বাবা দিবসকে অফিসিয়াল ছুটির দিন হিসেবে স্বীকৃতি দেন।