হার্ট অ্যাটাক একটি প্রাণঘাতী জরুরি অবস্থা, যার আগে শরীর বিভিন্ন সতর্ক সংকেত পাঠায়। এর অন্যতম সাধারণ লক্ষণ হলো বুকের ব্যথা, যাকে অনেক সময় অ্যাঞ্জাইনা (Angina) বলা হয়। তবে হার্ট অ্যাটাকের সময় ব্যথার ধরন ও অন্যান্য উপসর্গ ভিন্ন হতে পারে। সময়মতো সচেতন না হলে মারাত্মক বিপদ ডেকে আনতে পারে।
এই প্রতিবেদনে তুলে ধরা হলো হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাব্য পূর্ব লক্ষণ, ব্যথার ধরন এবং কোন পরিস্থিতিতে দ্রুত চিকিৎসা নেয়া জরুরি:
🫀 হার্ট অ্যাটাকের সাধারণ ব্যথার ধরন:
- বুকে চাপ বা ভারী অনুভূতি:
বুকের মাঝখানে, বিশেষ করে বাম দিকে, পাথরের মতো ভারী কিছু চেপে বসেছে এমন অনুভূতি হতে পারে। ব্যথা হঠাৎ শুরু হলেও ধীরে ধীরে বাড়তে পারে। - ব্যথা ছড়িয়ে পড়া:
কেবল বুকেই নয়, ব্যথা ছড়িয়ে যেতে পারে বাম হাত, ঘাড়, চোয়াল, পিঠ বা পেটে। কখনো কখনো বুক ব্যথা না-ও থাকতে পারে, বিশেষ করে যদি ব্যথা কেবল বাম হাতে বা চোয়ালে অনুভূত হয়।
⏱️ ব্যথার সময়সীমা:
- ব্যথা ৫ মিনিটের বেশি স্থায়ী হতে পারে।
- বিশ্রাম নিলেও ব্যথা না কমলে হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কা বেড়ে যায়।
⚠️ অন্যান্য লক্ষণ যেগুলোতে সতর্ক থাকবেন:
- শ্বাস নিতে কষ্ট হওয়া বা হাঁপানির মতো অনুভব
- হঠাৎ ঠান্ডা ঘাম হওয়া
- বমি বমি ভাব বা বমি
- মাথা ঘোরা বা দুর্বল লাগা
- ঘাড় ভারী লাগা বা অতিরিক্ত ক্লান্তি (বিশেষ করে নারীদের ক্ষেত্রে)
📌 কারা বেশি ঝুঁকিতে থাকেন?
- ডায়াবেটিস রোগী
- উচ্চ রক্তচাপ থাকা ব্যক্তি
- বয়স বেশি এমন নারী ও পুরুষ
এই শ্রেণির মানুষদের ক্ষেত্রে অনেক সময় ব্যথা তেমন স্পষ্ট হয় না, যাকে বলা হয় ‘সাইলেন্ট হার্ট অ্যাটাক’। তাই অস্বাভাবিক ক্লান্তি বা ঘুম ঘুম ভাবকেও গুরুত্বের সঙ্গে দেখা উচিত।
🏥 হার্ট অ্যাটাক মনে হলে কী করবেন?
- দ্রুত নিকটস্থ হাসপাতালে চলে যান বা অ্যাম্বুলেন্স ডাকুন।
- অনেকে অ্যাসপিরিন খাওয়ার পরামর্শ দেন, তবে এটি চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া খাওয়া উচিত নয়।