যুক্তরাষ্ট্র নতুন করে ৩৬টি দেশের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও স্বাক্ষরিত একটি অভ্যন্তরীণ কূটনৈতিক বার্তার মাধ্যমে এ সিদ্ধান্তের ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। বার্তায় সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর বিষয়ে একাধিক নিরাপত্তা ও অভিবাসন-সংক্রান্ত উদ্বেগ তুলে ধরা হয়েছে।
🇺🇸 নিষেধাজ্ঞার কারণ ও সতর্কবার্তা
হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে জানানো হয়, যেসব দেশ তাদের নাগরিকদের যথাযথ পরিচয়পত্র দিতে ব্যর্থ হচ্ছে অথবা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় সহযোগিতা করছে না, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এই দেশগুলোকে ৬০ দিনের সময়সীমা দেওয়া হয়েছে—এই সময়ের মধ্যে অভিবাসন ও নিরাপত্তা ব্যবস্থায় কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তন না আনলে আংশিক বা পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করা হবে।
📜 কূটনৈতিক বার্তার উল্লেখযোগ্য দিক
রয়টার্সের বরাতে জানা যায়, মার্কিন প্রশাসনের অভ্যন্তরীণ কূটনৈতিক বার্তায় যে উদ্বেগের কথা বলা হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে:
- জাতীয় নিরাপত্তার হুমকি
- বিদেশি সন্ত্রাসীদের প্রবেশে শিথিলতা
- অপরাধী প্রত্যাবাসনে ব্যর্থতা
এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানানো হয়েছে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর প্রতি।
🔙 অতীত নিষেধাজ্ঞার প্রেক্ষাপট
এটি প্রথম নয়। এর আগেও চলতি মাসের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্র ১২টি দেশের নাগরিকদের ভিসা এবং প্রবেশাধিকারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। সেই সময় সন্ত্রাসবাদের আশঙ্কা এবং জাতীয় নিরাপত্তার ঝুঁকি বিবেচনায় নিয়ে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
🌍 বৈশ্বিক প্রতিক্রিয়া ও সম্ভাব্য প্রভাব
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ধরনের নিষেধাজ্ঞা আন্তর্জাতিক কূটনীতি ও বৈদেশিক সম্পর্কের ওপর তাৎপর্যপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে। এতে প্রবাসী নাগরিকদের চলাফেরায় জটিলতা তৈরি হওয়ার পাশাপাশি দেশগুলোর রাজনৈতিক চাপ বেড়ে যেতে পারে।