শেয়ারবাজারে কারসাজি করে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক সাকিব আল হাসানসহ মোট ১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এই মামলায় সাকিবের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছে সংস্থাটি।
দুদকের পক্ষ থেকে জানানো হয়, আসামিরা বাজারে প্রভাব বিস্তার করে অবৈধভাবে অর্থ উপার্জনের জন্য শেয়ার লেনদেনে অসঙ্গতি সৃষ্টি করেন। এতে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হন।
সাকিবের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা, জারি হলো দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. জাকির হোসেন গালিব ১৬ জুন (সোমবার) এক আদেশে সাকিবসহ বাকি আসামিদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন।
আসামিদের তালিকায় আরও রয়েছেন:
- সমবায় অধিদপ্তরের উপ-নিবন্ধক মো. আবুল খায়ের
- কাজী সাদিয়া হাসান
- আবুল কালাম মাদবর
- কনিকা আফরোজ
- মোহাম্মদ বাশার
- সাজেদ মাদবর
- আলেয়া বেগম
- কাজী ফুয়াদ হাসান
- কাজী ফরিদ হাসান
- শিরিন আক্তার
- জাভেদ এ মতিন
- মো. জাহেদ কামাল
- মো. হুমায়ুন কবির
- তানভির নিজাম
দীর্ঘ অনুপস্থিতির পর আবারো বিতর্কের মুখে সাকিব
গত বছরের ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর থেকে সাকিব আল হাসান দেশে ফেরেননি। তিনি আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলেও, তার বিরুদ্ধে থাকা একটি হত্যা মামলার কারণে দেশত্যাগের পর আর দেশে ফিরেননি।
জাতীয় দল থেকেও অনেকদিন ধরে দূরে থাকা সাকিবের বিরুদ্ধে এবার শেয়ারবাজারে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ফৌজদারি মামলা হলো, যা তার ক্যারিয়ার ও ব্যক্তিগত ভাবমূর্তির ওপর বড় ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে।
দুদক: তদন্ত চলমান, আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন
দুদকের মহাপরিচালক জানিয়েছেন, মামলার তদন্ত চলছে এবং যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে আসামিদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তদন্তে প্রমাণ মিললে আদালতের নির্দেশে দ্রুত অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।