বর্তমান সময়ে উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস ও গ্যাস্ট্রিকের মতোই থাইরয়েড সমস্যা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। শুধু প্রাপ্তবয়স্করাই নন, কিশোর-কিশোরী এমনকি শিশুরাও এখন হরমোনজনিত এই সমস্যায় আক্রান্ত হচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, আয়োডিনের ঘাটতি থেকে শুরু হয় থাইরয়েড গ্রন্থির অসংগতি, যা শরীরের হরমোন উৎপাদনকে ব্যাহত করে।
📌 থাইরয়েডের দুই প্রকার
চিকিৎসাবিজ্ঞানে থাইরয়েড সমস্যাকে মূলত দুই ভাগে ভাগ করা হয়:
১. হাইপোথাইরয়ডিজম (Hypothyroidism)
এতে থাইরয়েড হরমোনের মাত্রা কমে যায়। উপসর্গগুলোর মধ্যে রয়েছে—
- ওজন বৃদ্ধি
- অবসাদগ্রস্ততা
- ত্বক শুষ্ক হয়ে যাওয়া
- চুল পড়া
- ক্ষুধা কমে যাওয়া
- কোষ্ঠকাঠিন্য
- স্মৃতিশক্তি হ্রাস
- শীত শীত ভাব
- রক্তচাপ বেড়ে যাওয়া
- মাসিকের অনিয়ম
- বন্ধ্যত্ব বা গর্ভপাতের সম্ভাবনা
২. হাইপারথাইরয়ডিজম (Hyperthyroidism)
এই অবস্থায় হরমোনের মাত্রা বেশি হয়ে যায়, ফলে শরীরে অতিরিক্ত উত্তেজনা দেখা দেয়। লক্ষণগুলো হলো—
- গলা ফুলে যাওয়া
- ঘাম হওয়া ও গরম লাগা
- খাওয়ার পরও ওজন কমে যাওয়া
- ঘন ঘন পায়খানা হওয়া
- হাত কাঁপা ও হৃদস্পন্দন বেড়ে যাওয়া
- মেজাজ খিটখিটে হয়ে যাওয়া
🧠 শিশুদের জন্যও ঝুঁকিপূর্ণ
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, কনজেনিটাল হাইপোথাইরয়ডিজম থাকলে শিশুদের মস্তিষ্কের বিকাশ ব্যাহত হতে পারে। তাই নবজাতকের ক্ষেত্রেও থাইরয়েড পরীক্ষা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
⚠️ উপসর্গের পাশাপাশি করান রক্ত পরীক্ষা
থাইরয়েড সমস্যা নির্ণয়ের সবচেয়ে কার্যকর পদ্ধতি হলো টি-থ্রি (T3), টি-ফোর (T4) ও টিএসএইচ (TSH) হরমোনের রক্ত পরীক্ষা। উপসর্গ দেখা দিলে বিলম্ব না করে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা।