চাঁদপুরে ৭ বছর পর নারী হত্যা মামলার প্রধান আসামি গ্রেপ্তার, আদালতে স্বীকারোক্তি

চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে দীর্ঘ সাত বছর আগে সংঘটিত এক নারী হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচিত হয়েছে। ওই মামলার প্রধান আসামি রিপন ওরফে রিংকু (৩৮)-কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। শুক্রবার (২০ জুন) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পিবিআই চাঁদপুর অঞ্চলের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার একেএম মহিউদ্দিন সেলিম

প্রযুক্তির সহায়তায় গ্রেফতার

পিবিআই জানায়, নোয়াখালীর কোম্পানিগঞ্জ থেকে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় রিংকুর অবস্থান নিশ্চিত করে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়। দীর্ঘ তদন্ত শেষে এই সাফল্য এসেছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

২০১৮ সালের সেই হত্যাকাণ্ড

২০১৮ সালের ২৪ জানুয়ারি রাতে চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ পৌরসভার পশ্চিম বড়ালি এলাকায় ঘটে এই নির্মম হত্যাকাণ্ড। নিহত হায়াতের নেছা (৫০) বাড়িতে একা বসবাস করতেন। রাতে ঘরে ঢুকে রিংকু ও তার সহযোগী মিলে তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে। হত্যার পর তার শরীর থেকে স্বর্ণালঙ্কার ও মোবাইল ফোন লুট করে পালিয়ে যায় তারা।

মামলার তদন্তে পিবিআই

ঘটনার পর নিহতের ভাইয়ের ছেলে সাজ্জাদ হোসেন রুবেল ফরিদগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। তবে থানা পুলিশ মামলার কোনো অগ্রগতি করতে না পারায় মামলাটি পিবিআই-এর কাছে হস্তান্তর করা হয়। পিবিআই-এর পুলিশ পরিদর্শক শাহজাহান কবির দীর্ঘ তদন্ত শেষে হত্যার মূল রহস্য উদঘাটন করেন এবং প্রধান আসামিকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হন।

আদালতে স্বীকারোক্তি

গ্রেফতারের পর রিংকুকে চাঁদপুর বিচারিক আদালতে হাজির করা হয়। সেখানে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়ে তিনি হত্যার দায় স্বীকার করেন। আদালতে রিংকু জানান, চুরির উদ্দেশ্যে তারা হায়াতের নেছার ঘরে প্রবেশ করেছিলেন। কিন্তু ভুক্তভোগী তাদের চিনে ফেলায়, তাকে হত্যা করার সিদ্ধান্ত নেয় তারা।

পরবর্তী পদক্ষেপ

আদালতে স্বীকারোক্তি দেওয়ার পর বিচারক রিংকুকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। পিবিআই জানায়, মামলার অন্যান্য অভিযুক্তদের খোঁজে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *