কক্সবাজার-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য জাফর আলমকে ১৮ দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছে আদালত। বুধবার (১৮ জুন) সকালে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে তাকে চকরিয়া উপজেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়।
শুনানি শেষে চকরিয়া থানার পাঁচটি এবং পেকুয়া থানার দুটি মামলায় মোট ১৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন বিচারক আনোয়ারুল কবির। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা মোট ৭ মামলায় ৪৯ দিনের রিমান্ড আবেদন করলেও আদালত তা আংশিক মঞ্জুর করেন।
জাফর আলমের পক্ষে কক্সবাজার জেলা ও চকরিয়া উপজেলা থেকে অর্ধশতাধিক আইনজীবী উপস্থিত থেকে রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে আবেদন করেন। আদালত চত্বরে ছিল সেনাবাহিনী, র্যাব ও বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্য মোতায়েন, যার ফলে নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল চৌকস।
রাজনৈতিক উত্তেজনা
সাবেক এই এমপিকে আদালতে আনার খবর ছড়িয়ে পড়লে সকাল থেকেই চকরিয়া থানার সামনে জড়ো হতে থাকেন বিএনপি নেতাকর্মীরা। তারা বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে জাফর আলমের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
অন্যদিকে, মামলাকে ‘মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক’ দাবি করে প্রতিবাদ জানান স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা। তারা মগবাজার এলাকায় ঝটিকা মিছিল বের করেন, যেখানে নেতৃত্ব দেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক জামাল উদ্দিন, যুবলীগ নেতা তৌহিদুল ইসলাম ও এনামুল হক।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শফিকুল ইসলাম জানান, আদালতের নির্দেশে জাফর আলমকে থানায় নেওয়া হয়েছে এবং রিমান্ড শেষে তাকে পুনরায় আদালতে হাজির করা হবে।
গ্রেফতারের পেছনের প্রেক্ষাপট
উল্লেখ্য, গত ২৭ এপ্রিল রাজধানীর ধানমন্ডি থেকে জাফর আলমকে গ্রেফতার করে ডিবি। পরে যুবদল নেতা শামীম মোল্লা হত্যা মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে হাজির করা হয়।
এ ঘটনার পর রাজনৈতিক অঙ্গনে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে, যা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর বাড়তি সতর্কতা ও মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীদের কার্যক্রমে স্পষ্টভাবে দৃশ্যমান।