ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় এক সময়ের খলনায়িকা রিনা খান (অ্যাসল নাম সেলিমা সুলতানা) সম্প্রতি তাঁর ছেলের নামে দায়ের করা মামলাকে কেন্দ্র করে সরব হয়েছেন। অভিনেত্রী দাবি করেছেন, বিএনপির প্রতি রাজনৈতিক আনুগত্যের কারণে তিনি সরকারি নিপীড়নের শিকার হয়েছেন।
গত বছর জুলাইয়ে গণঅভ্যুত্থানের পর সরকারের পতনের সুযোগে কিছুটা স্বস্তি মিললেও ছেলের নামে মিথ্যা মামলা এবং বিরক্তিকর পরিস্থিতি থেকে তিনি মুক্ত হতে পারেননি। এই কারণে রিনা খান সম্প্রতি বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে হাজির হয়ে বিষয়টি তুলে ধরেন।
রিনা জানান, তার বড় ছেলে বর্তমানে জার্মানিতে থাকলেও তার নামেও মামলা দায়ের হয়েছিল এবং গ্রেফতারি পরোয়ানাও জারি হয়েছিল। ছোট ছেলেও পুলিশী হয়রানির শিকার হয়েছেন। এসব কারণে দীর্ঘ সময় তিনি ঘর থেকে বের হতে ভয় পেতেন এবং বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণে বাধাপ্রাপ্ত ছিলেন।
মঙ্গলবার (১৭ জুন) কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক বক্তব্যে রিনা খান বলেন, “আমি জিয়া সাংস্কৃতিক সংগঠন (জিসাস) কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভানেত্রী। আমি বিএনপির সঙ্গে যুক্ত হওয়ায় আজকের এই অবস্থা।” তিনি আবেদনপত্র জমা দিয়ে ছেলের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলাগুলো তুলে নেওয়ার জন্য দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। রিনা জানান, দলের নেতা সালাহউদ্দিন সাহেব এবং অন্যান্য সদস্যদের সহযোগিতা পেয়েছেন।
২০০৯ সালে বড় ছেলে জার্মানিতে যাওয়ার পর থেকে তার নামে মিথ্যা মামলা দায়ের শুরু হয়, যা পরিবারের ওপর চাপ ও হয়রানি বাড়িয়েছে। রিনা খান বলেন, “আমি একটি নির্যাতিত সন্তানের মা। ফ্যাসিস্ট সরকার বিদায় নেওয়ার পর নতুন জীবন পেয়েছি।”
তিনি আবেগাপ্লুত হয়ে বলেন, “আজ আমি খুব খুশি, খুশিতে কান্না হচ্ছিল। আমরা চাই, ভবিষ্যতে আর কেউ নিপীড়িত না হোক।”
রিনা খান ১৯৮২ সালে ‘সোহাগ মিলন’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে চলচ্চিত্রে যাত্রা শুরু করেন। তিনি প্রধানত খলচরিত্রে খ্যাতি অর্জন করলেও ইতিবাচক চরিত্রেও অভিনয় করেছেন।’