ইউটিউবে শর্টস ভিডিও নির্মাণ এখন আরও সহজ হতে চলেছে। জনপ্রিয় ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্মটি কনটেন্ট নির্মাতাদের জন্য আনছে অত্যাধুনিক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি। ‘Veo 3’ নামে গুগল তৈরি করেছে একটি উন্নত এআই মডেল, যা ব্যবহারকারীর টেক্সট নির্দেশনা থেকেই স্বয়ংক্রিয়ভাবে শর্টস ভিডিও তৈরি করতে পারবে।
ইউটিউবের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নীল মোহন জানিয়েছেন, নতুন এই এআই সিস্টেমের মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা কেবল লিখে জানালেই তৈরি হয়ে যাবে শর্ট ভিডিও। এতে স্ক্রিপ্ট লেখা বা আলাদা করে ভিডিও ধারণ করার প্রয়োজন হবে না। চলতি বছরের মধ্যেই এ প্রযুক্তি চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে ইউটিউবের।
ভিডিও নির্মাণে নতুন যুগের সূচনা
এই উদ্ভাবনকে ইউটিউব উল্লেখ করেছে কনটেন্ট নির্মাণে এক নতুন দিগন্ত হিসেবে। বিশেষ করে শর্টস ভিডিওর ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয়তার মধ্যে এটি নির্মাতাদের জন্য সময় ও শ্রম সাশ্রয়ী একটি টুল হয়ে উঠবে। প্ল্যাটফর্মটি তরুণদের মধ্যে যেমন জনপ্রিয়তা পেয়েছে, তেমনি অনেকেই শর্টস ভিডিও থেকে আয়ও করছেন।
প্রযুক্তির সুবিধা ও শঙ্কা দুইই রয়েছে
যদিও এআইনির্ভর ভিডিও নির্মাণে প্রযুক্তিগত দিক থেকে বড় অগ্রগতি হয়েছে, তবে এর কিছু চ্যালেঞ্জ ও শঙ্কা নিয়েও কথা বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
তাদের মতে—
- এআই যদি ভিডিও তৈরির মূল মাধ্যম হয়ে ওঠে, তাহলে মানবসৃষ্ট কনটেন্টের গুরুত্ব হ্রাস পেতে পারে।
- এতে পেশাদার কনটেন্ট নির্মাতাদের আয়ে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।
- যথাযথ নীতিমালা ও ব্যবহারবিধি না থাকলে, এই প্রযুক্তি ভুল তথ্য বা বিভ্রান্তিকর কনটেন্ট তৈরি করে ব্যবহারকারীদের ক্ষতির কারণও হতে পারে।