তেহরান সাফ জানিয়ে দিয়েছে, ইসরায়েলের চলমান বিমান হামলা বন্ধ না হলে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পারমাণবিক ইস্যুতে কোনো আলোচনায় বসবে না তারা। অন্যদিকে, হামলা বন্ধে ইসরায়েলকে আহ্বান জানানোর বিষয়ে অনাগ্রহ প্রকাশ করেছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
শনিবার (২১ জুন) আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় ইসরায়েলের সাম্প্রতিক হামলার প্রেক্ষাপটে ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ বিভিন্ন কূটনৈতিক পক্ষ যুক্তরাষ্ট্রকে হস্তক্ষেপের আহ্বান জানালেও প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সেই পথ অবলম্বনের ইঙ্গিত দেননি।
ট্রাম্প বললেন, “ইসরায়েল এখন জিতছে”
এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প বলেন,
“এই মুহূর্তে ইসরায়েল খুব ভালো করছে। তারা যুদ্ধক্ষেত্রে এগিয়ে রয়েছে। তাই বিজয়ী পক্ষকে থামাতে বলা বেশ কঠিন।”
তিনি আরও বলেন,
“ইরান ভালো করছে না। এই পরিস্থিতিতে কাউকে থামানো কঠিন। দুই সপ্তাহ সময় নিয়ে আমরা পরবর্তী সিদ্ধান্ত বিবেচনা করব।”
এই মন্তব্যে স্পষ্ট যে, ট্রাম্প কূটনৈতিক সমাধানের বদলে ইসরায়েলের সামরিক অবস্থানকে সমর্থন করছেন।
তেহরানের জবাব: আগ্রাসন বন্ধ না হলে আলোচনা নয়
অন্যদিকে, সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি বলেন,
“যতক্ষণ না আগ্রাসন থামে এবং দোষীদের জবাবদিহির আওতায় আনা হয়, ততক্ষণ ইরান যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পারমাণবিক আলোচনায় ফিরবে না।”
তিনি আরও জানান,
“ইরানের পারমাণবিক কার্যক্রম সবসময় আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা (IAEA)-এর তদারকির আওতায় পরিচালিত হয়ে এসেছে। তা সত্ত্বেও এ ধরনের হামলা আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের শামিল।”
পারমাণবিক উত্তেজনা ও কূটনৈতিক অনিশ্চয়তা
বিশ্লেষকরা বলছেন, ইসরায়েল-ইরান উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে ওয়াশিংটনের নির্লিপ্ত ভূমিকা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলছে। ইরানের হুঁশিয়ারির কারণে ২০১৫ সালের পারমাণবিক চুক্তিতে ফেরার সম্ভাবনাও এখন অনেকটাই অনিশ্চয়তায় পড়ে গেছে।