গলের মাটিতে টেস্টের শেষ দিনে দারুণভাবে শুরু করেছিল বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ইনিংসে মুশফিকুর রহিম ও নাজমুল হোসেন শান্তর দুর্দান্ত জুটিতে লিড ছুঁয়েছিল আড়াইশ’র কাছাকাছি। তবে অপ্রত্যাশিতভাবে রানআউটে কাটা পড়ে ফিফটি না পাওয়া মুশফিক হতাশ হন, আর ভাঙে গুরুত্বপূর্ণ এক শতরান পার জুটি।
শুক্রবার (২১ জুন) সকালে প্রবাত জয়াসুরিয়ার এক ডেলিভারি মিডঅনে ঠেলে রান নেওয়ার চেষ্টায় রানআউট হন মুশফিক। যদিও তিনি প্রায় পৌঁছে গিয়েছিলেন, তৃতীয় আম্পায়ারের রিপ্লেতে দেখা যায়, স্টাম্প ভাঙার সময় তার ব্যাট লাইনের বাইরে ছিল। মাত্র এক রান দূরে থেকে ৪৯ রানে ফিরতে হয় এই অভিজ্ঞ ব্যাটারকে। শান্তর সঙ্গে তার গড়া ১০৯ রানের মূল্যবান জুটিও তাতেই ভেঙে যায়।
এরপরই হঠাৎ শুরু হয় বৃষ্টি, ফলে আপাতত বন্ধ রয়েছে খেলা।
শান্তর সেঞ্চুরির পথে এগিয়ে চলা
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশ ৪ উইকেট হারিয়ে সংগ্রহ করেছে ২৩৭ রান। সব মিলিয়ে লিড দাঁড়িয়েছে ২৪৭ রানে। শান্ত ১৬৮ বল মোকাবিলা করে ৯টি চারসহ ৮৯ রানে অপরাজিত রয়েছেন।
ইনিংসের প্রেক্ষাপট
বাংলাদেশ পঞ্চম দিন শুরু করেছিল ৩ উইকেটে ১৭৭ রান নিয়ে। আগের দিন ওপেনার সাদমান ইসলাম ৭৬ রানে আউট হলেও অপর ব্যাটাররা বড় ইনিংস খেলতে ব্যর্থ হন। এনামুল হক বিজয় ৪ ও মুমিনুল হক করেন ১৪ রান। শ্রীলঙ্কার হয়ে প্রবাত জয়াসুরিয়া, থারিন্দু রত্নানায়েকে ও মিলান রত্নানায়েকে একটি করে উইকেট শিকার করেন।
প্রথম ইনিংসের পরিসংখ্যান
বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে ৪৯৫ রান তোলে মুশফিকুর রহিমের ১৬৩, শান্তর ১৪৮ ও লিটন দাসের ৯০ রানে ভর করে। শ্রীলঙ্কার হয়ে অসিথা ফার্নান্দো ৪টি, মিলান ও থারিন্দু নেন ৩টি করে উইকেট।
জবাবে শ্রীলঙ্কা করে ৪৮৫ রান, যেখানে নিসাঙ্কা ১৮৭, কামিন্দু মেন্ডিস ৮৭ ও চান্দিমাল ৫৪ রান করেন। টাইগারদের হয়ে বল হাতে সবচেয়ে সফল ছিলেন নাঈম হাসান, নেন ৫ উইকেট। তাকে সঙ্গ দেন হাসান মাহমুদ, যিনি ৩টি উইকেট শিকার করেন।