বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা আবারও এক নতুন টুর্নামেন্ট আয়োজনের পরিকল্পনায় ব্যস্ত। ক্লাব বিশ্বকাপে প্রত্যাশা অনুযায়ী দর্শক টানতে ব্যর্থ হওয়ার পর এবার পুরোনো কনফেডারেশন কাপ ফিরিয়ে আনার তোড়জোড় শুরু করেছে তারা। লক্ষ্য একটাই—আরও একবার লিওনেল মেসি ও ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর দ্বৈরথ উপহার দিয়ে বিশ্বজুড়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা।
চার বছর পরপর হবে কনফেডারেশন কাপ
বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের বরাতে জানা গেছে, কনফেডারেশন কাপকে নতুন রূপে চার বছর অন্তর আয়োজন করার পরিকল্পনা করছে ফিফা। নতুন ফরম্যাটে অংশ নেবে ৬টি মহাদেশীয় চ্যাম্পিয়ন দল, বিশ্বকাপ জয়ী এবং ইউরোপিয়ান নেশন্স লিগ চ্যাম্পিয়ন। এই পরিকল্পনা বাস্তব হলে, ২০২৬ সালের আগে একটি মিনি ওয়ার্ল্ড কাপ দেখার সুযোগ মিলতে পারে ফুটবলপ্রেমীদের।
সম্ভাব্য অংশগ্রহণকারী দল
- আর্জেন্টিনা (বিশ্বচ্যাম্পিয়ন)
- পর্তুগাল (নেশন্স লিগ চ্যাম্পিয়ন)
- স্পেন (ইউরো চ্যাম্পিয়ন)
- কলম্বিয়া (কোপা আমেরিকার রানার আপ)
- মেক্সিকো (গোল্ড কাপ জয়ী)
- কাতার (এশিয়ান কাপ চ্যাম্পিয়ন)
- আইভোরি কোস্ট (আফ্রিকান নেশনস কাপ চ্যাম্পিয়ন)
- নিউজিল্যান্ড (ওশেনিয়া নেশন্স কাপ জয়ী)
এই ফরম্যাট অনুযায়ী, মেসির আর্জেন্টিনা এবং রোনালদোর পর্তুগাল একসঙ্গে এই প্রতিযোগিতায় মুখোমুখি হওয়ার সুযোগ পাবে। ফলে এক ঐতিহাসিক ম্যাচ আয়োজনের পথ প্রশস্ত হতে পারে, যা গোটা বিশ্বে বিপুল আলোড়ন সৃষ্টি করবে।
ক্লাব বিশ্বকাপে ব্যর্থতা, নতুন করে ভাবনায় ফিফা
বিশ্বজুড়ে ক্লাব ফুটবলের ঠাসা সূচি এবং খেলোয়াড়দের অতিরিক্ত চাপের কারণে সম্প্রতি ফিফার ক্লাব বিশ্বকাপ আয়োজন কাঙ্ক্ষিত সাড়া পায়নি। ইউরোপিয়ান ক্লাবগুলোর অনাগ্রহ এবং ফুটবলারদের ক্লান্ত পারফরম্যান্স নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েছে ফিফা। এমন পরিস্থিতিতে আয়োজক সংস্থাটি চাচ্ছে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আরও আকর্ষণীয় ও অর্থনৈতিকভাবে লাভজনক এক আসর ফিরিয়ে আনতে।
ফুটবল বিশ্লেষকদের মত
বিশেষজ্ঞদের মতে, মেসি-রোনালদোকে ফের একবার মুখোমুখি দেখার সম্ভাবনা তৈরি করতে পারলে তা বিশ্বজুড়ে বিপুল বাণিজ্যিক এবং ভিউয়ারশিপ লাভ এনে দেবে ফিফাকে। পাশাপাশি নতুন প্রজন্মের জন্য এ ম্যাচ হতে পারে স্মরণীয় এক অভিজ্ঞতা।