বর্তমান যুগে ঘরে বসেই অর্থ উপার্জনের জনপ্রিয় মাধ্যম হলো ফ্রিল্যান্সিং। বিভিন্ন ক্ষেত্রে কাজের ব্যাপক সুযোগ থাকার কারণে নতুন ফ্রিল্যান্সারের সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। ফ্রিল্যান্সিং এমন একটি কাজ যেখানে কেউ নিজেকে স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে, নিজের সময় ও পরিমাণ নির্ধারণ করে কাজের জন্য নির্দিষ্ট মূল্য পায়।
অনলাইনে ফ্রিল্যান্সিং বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে করা যায়, যেমন: কন্টেন্ট রাইটিং, গ্রাফিক ডিজাইন, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, ডিজিটাল মার্কেটিং, ভিডিও এডিটিং ইত্যাদি। বর্তমানে পাঁচটি ফ্রিল্যান্সিং সাইট নতুনদের জন্য খুবই উপযোগী ও জনপ্রিয়, যেগুলো থেকে শুরু করা যেতে পারে:
১. আপওয়ার্ক (Upwork)
আপওয়ার্ক বিশ্বের অন্যতম বড় ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্ম। এখানে ঘন্টাভিত্তিক এবং মূল্যভিত্তিক দুই ধরনের কাজ পাওয়া যায়। ক্লায়েন্টরা কাজের জন্য ঘন্টা অনুযায়ী বা নির্দিষ্ট মূল্য দিয়ে পেমেন্ট করেন। তবে, কাজের জন্য বিড করতে কিছু ফি দিতে হয় এবং পেমেন্টে ৫ থেকে ২০ শতাংশ কমিশন কাটে। মাইক্রোসফটের মতো বড় প্রতিষ্ঠানগুলোও এখানে কাজ দেয়। ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, কন্টেন্ট রাইটিং, ইঞ্জিনিয়ারিংসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে কাজের সুযোগ প্রচুর।
২. ফাইভার (Fiverr)
ফাইভার হলো ‘গিগ’ ভিত্তিক মার্কেটপ্লেস, যেখানে ফ্রিল্যান্সাররা ছোট ছোট প্যাকেজে সেবা অফার করেন। বিড করার জন্য কোন ফি নেই, যা নতুনদের জন্য বিশেষ সুবিধাজনক। সাধারণত এখানে ক্লায়েন্টরা কম খরচে কাজ করায় নতুনদের কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। ২০১০ সাল থেকে ফাইভার জনপ্রিয়তা লাভ করেছে।
৩. পিপল পার আওয়ার (PeoplePerHour)
২০০৭ সালে প্রতিষ্ঠিত যুক্তরাজ্যভিত্তিক এই সাইটে ডিজাইন, সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট, ভিডিও এডিটিং থেকে শুরু করে বিজনেস সাপোর্ট সব ধরনের কাজ পাওয়া যায়। এখানে বিড করার পাশাপাশি সার্ভিস সেল করার সুযোগও রয়েছে, অর্থাৎ নিজের দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা অনুযায়ী কাজের দাম নির্ধারণ করতে পারবেন।
৪. ফ্রিল্যান্সার ডট কম (Freelancer.com)
২০০৯ সালে অস্ট্রেলিয়ায় প্রতিষ্ঠিত এই সাইটে প্রায় ১৮০০ ক্যাটাগরিতে কাজ পাওয়া যায়। এখানে ঘন্টাভিত্তিক, মূল্যভিত্তিক এবং প্রতিযোগিতামূলক কাজের সুবিধা রয়েছে, যেখানে ক্লায়েন্ট নির্দিষ্ট অর্থ পুরস্কার রেখে ফ্রিল্যান্সারদের কাজ জমা দেয়ার সুযোগ দেয়।
৫. গুরু ডট কম (Guru.com)
পেনসিলভানিয়ার পিটসবার্গে ১৯৯৮ সালে যাত্রা শুরু করা এই সাইটে বিশেষভাবে প্রোগ্রামিং, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, ইঞ্জিনিয়ারিং, মার্কেটিং ও এসইওয়ের কাজ বেশি পাওয়া যায়। এখানে গ্রুপভিত্তিক কাজ করার সুযোগও রয়েছে, যেখানে বড় বড় প্রজেক্টে একসঙ্গে কাজ করে আয়ের সুযোগ তৈরি হয়।
ফ্রিল্যান্সিংয়ে সফলতার টিপস
শুধুমাত্র দক্ষতা নয়, সঠিক প্ল্যাটফর্ম নির্বাচন এবং নিয়ম-কানুন, পেমেন্ট পলিসি সম্পর্কে ভালো জ্ঞান থাকা জরুরি। উপরোক্ত সাইটগুলো নতুনদের জন্য আয়ের সুযোগ বাড়াতে সাহায্য করে, পাশাপাশি একটি শক্তিশালী আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার গড়তেও সহায়তা করে।