বিশ্ববিখ্যাত পেশাজীবী প্রতিষ্ঠান প্রাইসওয়াটারহাউসকুপার্স (PwC) প্রকাশিত সাম্প্রতিক এক জরিপে উঠে এসেছে উদ্বেগজনক তথ্য। যুক্তরাজ্যের তরুণ কর্মীদের মধ্যে মানসিক স্বাস্থ্যজনিত সমস্যা এতটাই প্রকট যে, গত ১২ মাসে প্রতি চারজনের একজন চাকরি ছাড়ার কথা ভেবেছেন। এই তথ্য প্রকাশ করেছে প্রভাবশালী টেক সংবাদমাধ্যম দ্য রেজিস্টার।
তরুণদের মানসিক চাপের প্রভাব কর্মস্থলে
জরিপে অংশ নিয়েছেন যুক্তরাজ্যের ৩০০টির বেশি প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৪ হাজার কর্মী। এতে দেখা গেছে, কর্মীদের মধ্যে প্রায় ১০ শতাংশ ইতিমধ্যেই দীর্ঘমেয়াদে কাজ ছাড়ার চিন্তাভাবনায় রয়েছেন। মূলত মানসিক চাপ, উদ্বেগ, ওয়ার্ক-লাইফ ব্যালেন্সের অভাব এবং হতাশা—এই সমস্যাগুলো তাদের এমন সিদ্ধান্তের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।
৩৫ বছরের নিচে তরুণ কর্মীরা সবচেয়ে ঝুঁকিতে
তথ্য অনুযায়ী, ৩৫ বছরের কম বয়সী কর্মীদের মধ্যে চাকরি ছাড়ার প্রবণতা সবচেয়ে বেশি। অন্যান্য বয়সী কর্মীদের তুলনায় তারা মানসিক চাপ ও অসন্তোষের কারণে কাজ থেকে সরে দাঁড়াতে চাইছেন বেশি হারে।
কর্মক্ষমতা কমে যাওয়ায় অর্থনীতিতে চাপ
যুক্তরাজ্যে কর্মক্ষম প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে যারা আর কাজ খুঁজছেন না কিংবা কাজ করতে অক্ষম, তাদের নিয়ে গঠিত অর্থনৈতিক নিষ্ক্রিয়তা এখন সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। ২০২৪ সালের হিসাবে, অর্থনৈতিকভাবে নিষ্ক্রিয় মানুষের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯.৪ মিলিয়নে, যা কর্মক্ষম জনসংখ্যার প্রায় ২২ শতাংশ।
এই পরিসংখ্যান সরকারের জন্য একটি বড় ধরনের অর্থনৈতিক ও সামাজিক চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে। কারণ, এতে করে অসুস্থতা বা প্রতিবন্ধী ভাতা গ্রহণকারী মানুষের সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে।
কী বোঝায় অর্থনৈতিক নিষ্ক্রিয়তা?
অর্থনৈতিক নিষ্ক্রিয়তা বলতে এমন ব্যক্তিদের বোঝায় যারা কর্মক্ষম বয়সে থাকা সত্ত্বেও কোনো চাকরিতে নিযুক্ত নন, চাকরি খুঁজছেন না কিংবা কোনো কাজ করতে আগ্রহী নন। শারীরিক বা মানসিক সমস্যা, দায়িত্ব পালন সংক্রান্ত বাধা, বা দীর্ঘমেয়াদি হতাশা—এসব কারণে তারা কর্মক্ষেত্র থেকে ছিটকে পড়েন।