হবিগঞ্জের বৃহত্তম পাইকারি সবজি বাজারে সরবরাহ কমে যাওয়ায় সবজির দাম বেড়ে গেছে। কৃষক ও ব্যবসায়ীরা জানাচ্ছেন, একদিকে টানা বৃষ্টিতে ক্ষেত প্লাবিত হওয়া, অন্যদিকে খরার কারণে গাছ শুকিয়ে যাওয়ায় সবজি উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। এতে পাইকারি ও খুচরা বাজারে দাম বেড়ে গেছে উল্লেখযোগ্য হারে।
সরাসরি জমি থেকে বাজারে আসছে বিষমুক্ত সবজি
জেলার কোট স্টেশন এলাকায় অবস্থিত হবিগঞ্জ চাষি বাজার দেশের অন্যতম বিষমুক্ত সবজির পাইকারি কেন্দ্র। প্রতিদিন ভোর থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত চলে বেচাকেনা। কৃষকরা তাদের খেত থেকে তুলে আনা টাটকা সবজি নিয়ে সরাসরি বিক্রির জন্য হাজির হন এ বাজারে।
এখান থেকেই জেলার বিভিন্ন বাজারে সরবরাহ করেন পাইকারি ব্যবসায়ীরা। বাজারটিতে নিরাপদ ও বিষমুক্ত সবজি পাওয়ার নিশ্চয়তায় সকাল থেকেই ভিড় করেন খুচরা ক্রেতারাও।
দাম বাড়ার কারণ: প্রাকৃতিক বৈরিতা
সবজি বিক্রেতা সবুজ মিয়া জানান, “টানা বৃষ্টিতে জমিতে পানি জমে গাছ পচে গেছে, এখন আবার খরার কারণে সবজি গাছ পুড়ে যাচ্ছে। এর ফলে উৎপাদন ও সরবরাহ দুটোই ব্যাহত হয়েছে।” ফলে কিছু সবজির দাম দ্বিগুণ হয়ে গেছে বলে জানান তিনি।
সরাসরি কৃষকের কাছে থেকে ক্রয়, তবুও স্বস্তি কম
খুচরা ক্রেতা জুনায়েদ আহমেদ বলেন, “এই বাজারে সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে টাটকা ও বিষমুক্ত সবজি পাওয়া যায়, তাই আমরা নিয়মিত এখানে আসি। তবে এখন সব কিছুর দাম বেড়েছে।”
বাজারের উন্নয়ন চেয়ে দাবি ব্যবসায়ীদের
চাষি বাজার ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সহ-সভাপতি সফিক মিয়া জানান, “প্রতিদিন এখানে প্রায় ২০ লাখ টাকার সবজি কেনাবেচা হয়। এটি জেলার সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজার হলেও প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নেই। কৃষকরা রাস্তার পাশে বসে সবজি বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন।”
তিনি আরও বলেন, “বাজারের পরিকল্পিত উন্নয়ন করা হলে আরও বেশি কৃষক ও ক্রেতা আসবেন, ব্যবসা বাড়বে, অর্থনীতি উপকৃত হবে।”
আশার আলো
ব্যবসায়ী ও বিক্রেতারা আশা করছেন, আবহাওয়া স্বাভাবিক হলে এবং মাঠ পর্যায়ে সবজি চাষ পুরোদমে শুরু হলে দ্রুতই বাজারে সরবরাহ বৃদ্ধি পাবে ও দাম স্বাভাবিক হয়ে আসবে।
