ড্রাগন ফল শুধু স্বাদেই অনন্য নয়, এতে রয়েছে স্বাস্থ্যরক্ষায় প্রয়োজনীয় নানা পুষ্টি উপাদান। ভিটামিন, খনিজ ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ এই ফল হজমে সহায়তা করার পাশাপাশি, রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ, ক্যানসার প্রতিরোধ এবং হার্টের সুস্থতায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। দিন দিন বাংলাদেশে এই ফলের চাহিদা ও উৎপাদন উভয়ই বাড়ছে।
ড্রাগন ফলের প্রধান উপকারিতা:
১. পুষ্টিগুণে ভরপুর
ড্রাগন ফলে রয়েছে কম ক্যালরি, তবে প্রচুর ফাইবার ও প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও মিনারেল।
✔ ১ কাপ ড্রাগন ফলে পাওয়া যায়:
- ক্যালরি: ১৩৬
- প্রোটিন: ৩ গ্রাম
- ফাইবার: ৭ গ্রাম
- আয়রন: ৮%
- ম্যাগনেসিয়াম: ১৮%
- ভিটামিন C: ৯%
- ভিটামিন E: ৪%
২. অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর
ড্রাগন ফলে রয়েছে ফ্ল্যাভোনয়েড, ফেনোলিক অ্যাসিড ও বিটাসায়ানিনের মতো অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা কোষগুলোকে ফ্রি র্যাডিক্যাল থেকে রক্ষা করে। এই অণুগুলো ক্যানসার ও অকাল বার্ধক্যের অন্যতম কারণ।
৩. ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়ক
উচ্চ ফাইবারের কারণে ড্রাগন ফল রক্তে শর্করার মাত্রা স্থিতিশীল রাখতে সহায়তা করে। এটি ইনসুলিন সেন্সিটিভিটি বাড়াতে সাহায্য করে, যা টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায়।
৪. ক্যানসার প্রতিরোধে কার্যকর
এই ফলে রয়েছে প্রাকৃতিক ক্যানসারবিরোধী উপাদান। বিশেষ করে কোলন ক্যানসার প্রতিরোধে এটি কার্যকর। পাশাপাশি, এতে থাকা ভিটামিন C রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
৫. হৃদযন্ত্রের জন্য উপকারী
ফলের ক্ষুদ্র কালো বীজগুলো ওমেগা-৩ ও ওমেগা-৯ ফ্যাটি অ্যাসিডে সমৃদ্ধ, যা হৃদযন্ত্র সুস্থ রাখে এবং রক্তচাপ ও কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখে।
৬. ত্বক ও চুলের যত্নে সহায়ক
ভিটামিন C সমৃদ্ধ ড্রাগন ফল ত্বক উজ্জ্বল ও তারুণ্যদীপ্ত রাখতে সহায়তা করে। এটি চুলের গোঁড়াকে মজবুত করতেও কার্যকর, ফলে চুল পড়ার হার কমে।
৭. হাড়ের গঠনে সহায়ক
প্রায় ১৮% ম্যাগনেসিয়াম থাকায় এই ফল হাড়কে শক্তিশালী করে এবং জয়েন্টের ব্যথা ও হাড় ভেঙে যাওয়ার সম্ভাবনা হ্রাস করে।
৮. চোখের জন্য উপকারী
বিটা-ক্যারোটিনে ভরপুর এই ফল চোখের ছানি পড়া, ম্যাকুলার ডিজেনারেশনসহ নানা সমস্যা প্রতিরোধে সহায়তা করে।
✅ নিয়মিত ড্রাগন ফল খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদরা। এটি শুধু স্বাস্থ্যই নয়, রূপচর্চায়ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।