দিনাজপুরের হিলি সীমান্ত বাজারে আবারও বেড়েছে চালের দাম। ধানের মূল্য বৃদ্ধিকে কারণ দেখিয়ে ব্যবসায়ীরা প্রকারভেদে প্রতি কেজিতে ৪ থেকে ৫ টাকা বেশি দামে চাল বিক্রি করছেন। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সাধারণ ক্রেতারা, বিশেষ করে নিম্নআয়ের মানুষজন।
বাজারে সরবরাহ ভালো, তবুও বেড়েছে দাম
বর্তমানে বোরো ধানের মৌসুম চলছে। অধিকাংশ জমির ধান কাটা শেষ হয়ে গেছে এবং সেসব ধান মিলগুলোতে সরবরাহও হয়েছে। নতুন চাল বাজারে উঠেছে। কিন্তু সরবরাহ স্বাভাবিক থাকলেও চালের দাম কমার পরিবর্তে বেড়েই চলেছে।
বিভিন্ন ধরনের চালের বর্তমান বাজারদর:
- স্বর্ণা চাল: কেজি ৫২ টাকা থেকে বেড়ে ৫৬ টাকা
- আটাইশ চাল: ৫৬ টাকা থেকে বেড়ে ৫৮ টাকা
- মিনিকেট চাল: ৬৮ টাকা থেকে বেড়ে ৭২ টাকা
- মোটা চাল: ৫০ টাকা থেকে বেড়ে ৫২ টাকা
সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ বাড়ছে
বাজারে আসা ক্রেতারা জানান, হঠাৎ করে চালের দাম বাড়ায় নিত্যদিনের খরচ বেড়ে গেছে। একজন ভোক্তা বলেন,
“প্রতিদিন বাজারে এসে দেখি নতুন দাম। কেজিতে ৪-৫ টাকা বেশি গুনতে হচ্ছে। আমাদের মতো খেটে খাওয়া মানুষের জন্য এটা খুব কষ্টকর।”
ব্যবসায়ীদের ব্যাখ্যা ও প্রশাসনের অবস্থান
চাল ব্যবসায়ীদের দাবি, চাল আমদানি বন্ধ থাকায় দেশি চালের ওপর চাপ বেড়েছে। পাশাপাশি, ধানের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় চালের দামও বাড়ছে।
এ প্রসঙ্গে হাকিমপুর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক সোহেল আহমেদ জানান,
“বাজার পরিস্থিতি প্রতিনিয়ত মনিটর করা হচ্ছে। কেউ যাতে চাল মজুত করে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি না করতে পারে, সেদিকে প্রশাসনের কঠোর নজরদারি রয়েছে।”