আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং আরও একজনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগে আজ (বুধবার, ২৫ জুন) শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। শুনানিটি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
আদালতের পদক্ষেপ
বিচারপ্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে এই মামলায় অ্যামিকাস কিউরি (আদালতের বন্ধু) হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ ওয়াই মশিউজ্জামান। আদালতের ব্যতিক্রমী পদক্ষেপ হিসেবে শেখ হাসিনার পক্ষে সরকারি খরচে একজন আইনজীবীও নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, যদিও এই ধরনের মামলায় সাধারণত তা প্রযোজ্য নয়।
অভিযোগের পটভূমি
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন জানায়, গাইবান্ধার এক আওয়ামী লীগ নেতার সঙ্গে ফোনালাপে শেখ হাসিনা বলেন, “২২৭ জনকে হত্যার লাইসেন্স পেয়েছি।” এই বক্তব্যের ভিত্তিতেই আদালত অবমাননার অভিযোগ আনা হয়। এ বিষয়ে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হলেও শেখ হাসিনা বা তার কোনো আইনজীবী আদালতে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দেননি।
সম্ভাব্য সাজা
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের আইনে অভিযোগ প্রমাণিত হলে আদালত অবমাননার জন্য সর্বোচ্চ এক বছর কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ডের বিধান রয়েছে।
আরও শুনানি
এ বিষয়ে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ শুনানি আগামী ১ জুলাই নির্ধারিত রয়েছে, যেখানে শেখ হাসিনা, কামাল হোসেন ও মামুন নামের একজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের বিষয়ে শুনানি হবে।