মাদারীপুরে ছাত্রনেতা মাসুম বিল্লাহকে কুপিয়ে জখমের ঘটনায় এনসিপির দুটি কমিটি স্থগিত

মাদারীপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য সচিব মাসুম বিল্লাহ-কে কুপিয়ে গুরুতর জখম করার ঘটনায় জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) জেলা ও সদর উপজেলা সমন্বয় কমিটি স্থগিত করেছে দলটির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। বুধবার (২৫ জুন) রাত ২টার দিকে এনসিপির অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজে একটি বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।

🔻 দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে কমিটি স্থগিত

দুটি পৃথক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে মাদারীপুর জেলা ও সদর উপজেলা এনসিপি কমিটির কার্যক্রম স্থগিতের সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেন কেন্দ্রীয় সদস্য সচিব আখতার হোসেন এবং দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ। পরবর্তীতে কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক মো. নাহিদ ইসলাম এবং সদস্য সচিবের নির্দেশে আনুষ্ঠানিকভাবে উভয় কমিটি স্থগিত ঘোষণা করা হয়।

⚠️ হামলার ঘটনার আগে দুটি সদস্য বহিষ্কার

কমিটি স্থগিতের কয়েক ঘণ্টা আগেই এনসিপি মাদারীপুর জেলা কমিটির ৫ নম্বর সদস্য আব্দুল্লাহ আদিল মাহমুদ টুটুল ও ৬ নম্বর সদস্য রাতুল হাওলাদার-কে সংগঠনের শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে বহিষ্কার করা হয়।

🗡️ হামলার পেছনে অন্তর্দলীয় দ্বন্দ্ব

সূত্র জানায়, এনসিপির সদ্য গঠিত ৩১ সদস্যের জেলা কমিটি নিয়ে দলের অভ্যন্তরে অসন্তোষ তৈরি হয়। এই কমিটি প্রত্যাখ্যান করেন জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক নেয়ামত উল্লাহ ও সদস্য সচিব মাসুম বিল্লাহসহ অনেক নেতাকর্মী। বিকল্প হিসেবে তারা একটি পৃথক ২৬ সদস্যের উপজেলা কমিটি গঠন করেন। এ নিয়েই সৃষ্টি হয় দ্বন্দ্ব এবং সহিংসতা।

🏥 গুরুতর আহত মাসুম, মামলা দায়ের

বুধবার বিকেলে বাদামতলা এলাকার ভূঁইয়া কমিউনিটি সেন্টারে এনসিপির কর্মী সভার শুরুতেই অতর্কিতে হামলার শিকার হন মাসুম বিল্লাহ। অভিযোগ অনুযায়ী, টুটুল ও রাতুলের নেতৃত্বে মাসুমকে কুপিয়ে এবং হাতুড়ি দিয়ে মারধর করা হয়। আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে প্রথমে মাদারীপুর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে এবং পরে ঢাকা মেডিকেলে স্থানান্তর করা হয়।

📝 থানায় মামলা, কিন্তু এখনো কেউ গ্রেফতার নয়

এ ঘটনায় মাসুমের সহকর্মী আকাশ মাতুব্বর বাদী হয়ে মাদারীপুর সদর মডেল থানায় ৮ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। তবে বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত পুলিশের পক্ষ থেকে কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।

পুলিশের অবস্থান জানতে সদর মডেল থানার ওসি মো. আদিল হোসেন-এর সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।