বাংলাদেশের ক্রিকেট তারকা সাকিব আল হাসান শুধু মাঠেই নন, পছন্দের তালিকায় ছিলেন বিজ্ঞাপন ও ব্র্যান্ডের মুখ হিসেবেও। তবে অনেকের অজানা, তিনি একবার রূপালি পর্দাতেও হাজির হয়েছিলেন! সম্প্রতি চলচ্চিত্র নির্মাতা রাজিবুল হোসেন প্রকাশ করেছেন এই চমকপ্রদ তথ্য।
নির্মাতা জানান, ‘সবকিছু পেছনে ফেলে’ নামে একটি সিনেমায় অতিথি চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন সাকিব। সিনেমাটি নির্মিত হয়েছিল পাঁচ তরুণ-তরুণীর জীবন ঘিরে। এটি পরিচালনার পাশাপাশি প্রযোজনাও করেন রাজিবুল হোসেন। স্পন্সর হিসেবে ছিল ফুজিফিল্ম বাংলাদেশ, যাদের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর ছিলেন সাকিব আল হাসান। প্রতিষ্ঠানটির আগ্রহেই সাকিব সিনেমাটিতে যুক্ত হন।
সাকিব তার ব্যস্ত ক্রিকেট সূচির মাঝে সিনেমার জন্য আট দিন সময় দিয়েছিলেন। সিনেমার শুটিং হয়েছিল কক্সবাজারের বিভিন্ন লোকেশনে। কিন্তু শুটিং শেষ হওয়ার আগেই, সাকিব সিনেমায় যুক্ত থাকার বিষয়টি অস্বীকার করেন। ফুজিফিল্ম পরে নির্মাতাকে অনুরোধ করে সাকিবকে বাদ দিয়ে সিনেমাটি সম্পন্ন করতে। তবে নির্মাতা এতে সম্মত হননি।
এই প্রসঙ্গে রাজিবুল বলেন, “সাকিবের আচরণ শিল্পের প্রতি অসম্মানজনক ছিল। আমি চাইলে সিনেমাটি তার অংশ ছাড়াই শেষ করতে পারতাম, কিন্তু তা করিনি। কারণ আমি বিশ্বাস করি, অসম্পূর্ণ সত্য দিয়ে সম্পূর্ণ সিনেমা তৈরি সম্ভব নয়।”
তিনি আরও জানান, সিনেমাটি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তার আর্থিক ক্ষতি হয় প্রায় ৬৫ লাখ টাকা।
এই ঘটনার পর সামাজিক মাধ্যমে নানা আলোচনার জন্ম নিয়েছে। অনেকেই বলছেন, একজন জনপ্রিয় তারকা হিসেবে সাকিবের পক্ষ থেকে এমন সিদ্ধান্ত দুঃখজনক, আবার কেউ কেউ বলছেন, হয়তো কিছু অনিবার্য কারণেই তিনি নিজেকে দূরে রেখেছিলেন।
এখনও পর্যন্ত সাকিব আল হাসান বা তার পক্ষ থেকে এই বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য আসেনি। বিষয়টি নিয়ে ক্রিকেট অঙ্গন ছাড়াও বিনোদনপ্রেমীদের মধ্যে বেশ কৌতূহল তৈরি হয়েছে।