মৃত্যুর পর বিপুল সম্পত্তির উত্তরাধিকারী সন্তানরা, প্রাক্তন স্ত্রী কারিশমা কাপুর বাইরে

বিশ্বখ্যাত শিল্পপতি ও বলিউড অভিনেত্রী কারিশমা কাপুরের প্রাক্তন স্বামী সঞ্জয় কাপুর প্রয়াত হয়েছেন, রেখে গেছেন বিপুল সম্পদ। ভারতীয় ধনকুবের সঞ্জয় কাপুরের এই মৃত্যু ভারতের কর্পোরেট ও বিনোদন জগতে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে।

💰 ৪০ হাজার কোটি টাকার মালিক ছিলেন সঞ্জয়

দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের বরাতে জানা গেছে, সঞ্জয় কাপুরের মোট সম্পদের পরিমাণ প্রায় ৪০ হাজার কোটি রুপি, যার মধ্যে কেবল ১০,৩০০ কোটি রুপি নগদ অর্থ ও বিনিয়োগ রয়েছে। এছাড়া তিনি ছিলেন বিলিয়ন ডলার মূল্যমানের কোম্পানি EV ম্যানুফ্যাকচারিং ও সোনা কমস্টার-এর কর্ণধার।

👪 কে পাচ্ছে এই বিশাল সম্পদ?

সঞ্জয়ের মৃত্যুর পর তার তৃতীয় স্ত্রীর সন্তানরাই পাবেন এই বিশাল সম্পদের মালিকানা। তিনি প্রথমে বিয়ে করেন ফ্যাশন ডিজাইনার নন্দিতা মাহতানিকে। এরপর ২০০৩ সালে কারিশমা কাপুরকে বিয়ে করেন এবং তাদের সংসারে রয়েছে এক ছেলে কিয়ানএক মেয়ে সামাইরা

তবে ২০১৬ সালে আইনি বিচ্ছেদের মাধ্যমে কারিশমার সঙ্গে সম্পর্কের অবসান ঘটে। তখনই তিনি কারিশমা ও সন্তানদের জন্য আর্থিকভাবে দায়িত্ব পালন করেন।

⚖️ বিচ্ছেদের পর কারিশমার জন্য নির্ধারিত সম্পদ

বিচ্ছেদের সময়:

  • কারিশমাকে তার বাবার বাড়িটি হস্তান্তর করা হয়
  • সন্তানদের জন্য ১৪ কোটি টাকার একটি বন্ড কিনে দেওয়া হয়, যার থেকে মাসিক ১০ লাখ টাকার সুদ আসে
  • এই সুদই সন্তানদের ভরণপোষণে ব্যয় করা হয়

তবে মূল সম্পত্তির উত্তরাধিকারী হিসেবে কারিশমা বা তার সন্তানরা নন, বরং তার তৃতীয় স্ত্রীর সন্তান আজারিয়াস কাপুর ও দত্তক নেওয়া কন্যা এই উত্তরাধিকার পাচ্ছেন।

❤️ বিচ্ছেদের পরেও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক

বিচ্ছেদের প্রথমদিকে সঞ্জয় ও কারিশমা একে অপরকে এড়িয়ে চললেও, সময়ের সঙ্গে সম্পর্কের বরফ গলতে শুরু করে। সন্তানদের জন্মদিনে কারিশমা নিমন্ত্রণ করতেন সঞ্জয়কে, এবং সঞ্জয়ও সময় করে সন্তানদের পাশে থাকতেন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তারা একটি সহানুভূতিশীল বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কে আবদ্ধ ছিলেন।

👨‍👩‍👧‍👦 তৃতীয় স্ত্রীর সঙ্গে সংসার

সঞ্জয় কাপুর ২০১৭ সালে মডেল প্রিয়া সচদেবের সঙ্গে তৃতীয়বার বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। তাদের সংসারে রয়েছে একটি ছেলে আজারিয়াস। এছাড়া প্রিয়ার আগের ঘরের মেয়েকেও সঞ্জয় নিজের সন্তান হিসেবে গ্রহণ করেছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *