বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল ভারতে আয়োজনের জন্য ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড বিসিসিআইয়ের জোরালো দাবিকে আবারও উপেক্ষা করলো আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)। ক্রিকেট নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি আগামী তিন আসরের ফাইনালও ইংল্যান্ডে আয়োজনের সিদ্ধান্তে অটল রয়েছে।
🔹 ফাইনালের নিরপেক্ষ ভেন্যু—ইংল্যান্ডই সেরা?
বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ (ডব্লিউটিসি) শুরুর পর থেকেই নিরপেক্ষ ভেন্যু নির্ধারণ নিয়ে আলোচনা ছিল তুঙ্গে। ২০২১ সালের সাউদাম্পটন, ২০২৩ এর ওভাল এবং ২০২৫ সালে লর্ডসে ফাইনাল আয়োজিত হওয়ায়, ইংল্যান্ড যেন অনানুষ্ঠানিক স্বাগতিকে পরিণত হয়েছে।
এই ধারাবাহিকতা বজায় রেখে ২০২৭, ২০২৯ এবং ২০৩১ সালের ফাইনালও ইংল্যান্ডেই আয়োজনের প্রস্তুতি নিচ্ছে আইসিসি ও ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি)। জুলাইয়ে সিঙ্গাপুরে আইসিসির বার্ষিক সভায় এই সিদ্ধান্ত চূড়ান্তভাবে গৃহীত হবে বলে টেলিগ্রাফের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
🔹 ভারতের আপত্তি ও আবেদন অগ্রাহ্য
বিসিসিআই বহুদিন ধরেই দাবি জানিয়ে আসছিল, ডব্লিউটিসি ফাইনালের মতো বৈশ্বিক আয়োজন ভারতের মতো ক্রিকেটপ্রেমী দেশে আয়োজন করা হোক। এমনকি আইসিসির প্রভাবশালী পদে বিসিসিআই সচিব জয় শাহ থাকায় অনেকে ধারণা করেছিল, ফাইনালের ভেন্যু ভারতে সরবে।
তবে আইসিসি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, নিরপেক্ষতা, দর্শকসংখ্যা এবং আবহাওয়ার দিক বিবেচনায় ভারত এখনও পিছিয়ে। বিশেষ করে জুন মাসে ইংল্যান্ডের অনুকূল আবহাওয়া এবং বৈচিত্র্যময় দর্শক সমাগম আইসিসিকে এই সিদ্ধান্তে সহায়তা করেছে।
🔹 রাজনীতি ও নিরাপত্তা ইস্যুতে ভারত পিছিয়ে
ভারতীয় ভেন্যুর আরেকটি বড় প্রতিবন্ধকতা রাজনৈতিক অস্থিরতা। বিশেষ করে ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক এবং সীমান্ত উত্তেজনা ডব্লিউটিসির মতো টুর্নামেন্টে জটিলতা তৈরি করতে পারে। কারণ, পাকিস্তান যদি ফাইনালে জায়গা করে নেয়, তাহলে ভারতের মাটিতে ম্যাচ আয়োজন করা সম্ভব না-ও হতে পারে। এ ধরনের অনিশ্চয়তা এড়াতে আগেভাগেই স্থির সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে চাইছে আইসিসি।
🔹 দর্শকপ্রিয়তায় ইংল্যান্ডই এগিয়ে
ইংল্যান্ডের ভেন্যুগুলোতে বৈচিত্র্যময় কমিউনিটি ও বহুজাতিক দর্শকের উপস্থিতি ফাইনাল ম্যাচকে আরও প্রাণবন্ত করে তোলে। এবারের ফাইনালে প্রথম তিন দিনেই ৭৫ হাজারের বেশি দর্শক মাঠে উপস্থিত ছিলেন, যা আয়োজকদের জন্য বড় প্রাপ্তি।