ভারতে ফের ঘটলো ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা। এবার উত্তরাখণ্ডের ঘন জঙ্গলে বিধ্বস্ত হলো একটি হেলিকপ্টার। এতে পাইলটসহ সাতজন নিহত হয়েছেন। দুর্ঘটনার সময় হেলিকপ্টারটিতে তীর্থযাত্রীসহ মোট সাতজন আরোহী ছিলেন। নিহতদের মধ্যে রয়েছে একজন শিশু।
🔹 কেদারনাথ থেকে গুপ্তকাশী যাওয়ার পথে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম NDTV জানায়, আরিয়ান এভিয়েশনের হেলিকপ্টারটি কেদারনাথ মন্দির থেকে উত্তরাখণ্ডের গুপ্তকাশী অভিমুখে যাচ্ছিল। উড্ডয়নের প্রায় ১০ মিনিট পর এটি গৌরীকুণ্ড ও সোনপ্রয়াগ-এর মাঝামাঝি এলাকায় বিধ্বস্ত হয়।
স্থানীয় সময় রোববার ভোর ৫টা ২০ মিনিটে ঘটে এ দুর্ঘটনা, যার পরপরই উদ্ধার অভিযান শুরু করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
🔹 নিহতদের পরিচয় ও প্রাথমিক তদন্ত
উত্তরাখণ্ড সিভিল অ্যাভিয়েশন ডিপার্টমেন্ট অথরিটি (UCADA) জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে ছয়জন তীর্থযাত্রী এবং একজন পাইলট রয়েছেন। যাত্রীরা মূলত উত্তরাখণ্ড, উত্তরপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র ও গুজরাট রাজ্যের বাসিন্দা।
উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘এক্স’ (সাবেক টুইটার) এ শোক জানিয়ে লেখেন, “এই দুর্ঘটনা অত্যন্ত বেদনাদায়ক। নিহতদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি।”
🔹 সম্ভাব্য কারণ: যান্ত্রিক ত্রুটি না খারাপ আবহাওয়া?
দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ এখনো জানা যায়নি। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, যান্ত্রিক ত্রুটি বা বৈরী আবহাওয়ার কারণে দুর্ঘটনাটি ঘটতে পারে। বিস্তারিত তদন্তের জন্য ইতোমধ্যে একটি বিশেষজ্ঞ দল ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে।
🔹 একই সপ্তাহে দ্বিতীয় বিমান দুর্ঘটনা
এই মর্মান্তিক হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার মাত্র তিন দিন আগেই ১২ জুন ভারতের গুজরাটে ঘটে আরেকটি ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা। সেদিন আহমেদাবাদের সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল বিমানবন্দর থেকে লন্ডনের উদ্দেশে উড্ডয়ন করা একটি যাত্রীবাহী বিমান বিজে মেডিকেল কলেজের ছাত্রাবাসের ওপর আছড়ে পড়ে। এতে মোট ২৭০ জনের মৃত্যু হয়, যাদের মধ্যে ২৪১ জনই ছিলেন বিমানের যাত্রী ও ক্রু।