মধ্যপ্রাচ্যে ইরান ও ইসরাইলের মধ্যকার উত্তেজনা নতুন মাত্রা নেওয়ায় বৈশ্বিক জ্বালানি বাজারে বিরূপ প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। যুদ্ধ পরিস্থিতির শঙ্কা বাড়ায় আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম দ্রুত বাড়ছে, যার প্রভাব পড়ছে এশিয়া, ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রের জ্বালানি সরবরাহে।
📈 আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের মূল্যবৃদ্ধি
সোমবার (১৬ জুন) বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, বাজার উদ্বোধনের পর ব্রেন্ট ক্রুডের দাম ব্যারেলপ্রতি বেড়ে দাঁড়ায় ৭৪.৮৭ ডলার, যা আগের দিনের তুলনায় ৬৪ সেন্ট বা ০.৮৬ শতাংশ বেশি। একই সময়ে মার্কিন ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট (WTI) ক্রুডের মূল্য ৭৬ সেন্ট বা ১.০৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়ায় ৭৩.৭৪ ডলার।
বিশ্লেষকদের মতে, দিনের শুরুতে একপর্যায়ে প্রতি ব্যারেল তেলের দাম চার ডলার পর্যন্ত বাড়ে, যা জানুয়ারির পর সর্বোচ্চ।
🛢️ সংঘাতের কেন্দ্রে হরমুজ প্রণালী
বিশ্ববাজারে প্রতিদিন ১৮–১৯ মিলিয়ন ব্যারেল তেল সরবরাহ হয় হরমুজ প্রণালী হয়ে—যা বৈশ্বিক ব্যবহারের এক-পঞ্চমাংশ। এই নৌপথে উত্তেজনা তৈরি হওয়ায় বিশ্বের প্রধান জ্বালানি ক্রেতা অঞ্চলসমূহ যেমন এশিয়া, ইউরোপ এবং যুক্তরাষ্ট্রে তীব্র উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে।
🚀 সাম্প্রতিক হামলা ও প্রতিক্রিয়া
রবিবার ও সোমবার ইরান ও ইসরাইলের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলায় বেসামরিক হতাহতের খবর পাওয়া গেছে। ইরান তেলআবিব ও হাইফায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালালে বহু ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়। এই ঘটনায় জি৭ সম্মেলনেও আলোচনার কেন্দ্রে থাকতে পারে মধ্যপ্রাচ্যের নিরাপত্তা সংকট।
ফুজিটোমি সিকিউরিটিজের বিশ্লেষক তোশিতাকা তাজাওয়া বলেন,
“ইসরাইল-ইরান উত্তেজনার দ্রুত সমাধান না হলে বাজারে আরও অস্থিরতা দেখা দিতে পারে। বিশেষ করে হরমুজ প্রণালী বন্ধ হলে তেলের দাম রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছাতে পারে।”