উত্তর বাড্ডায় ভাড়া বাসা থেকে নারীর অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার, শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগে স্বামী পলাতক

🔍 রাজধানীতে চাঞ্চল্যকর হত্যাকাণ্ড, ভাড়া বাসা থেকে উদ্ধার অর্ধগলিত লাশ

ঢাকার উত্তর বাড্ডার একটি ভাড়া বাসা থেকে সুমি আক্তার (২৭) নামে এক নারীর অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ধারণা করা হচ্ছে, তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে ফেলে রেখে পালিয়ে গেছেন তার স্বামী রাসেল।

এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে এবং পুলিশ ইতোমধ্যে তদন্ত শুরু করেছে।

🕒 ঘটনার বিবরণ

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ১৬ জুন (রবিবার) রাতে উত্তর বাড্ডার হাজী সোনা মিয়া মাতবর রোডের একটি ভবনের তৃতীয় তলার ফ্ল্যাট থেকে দুর্গন্ধ বের হওয়ার খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ওই ফ্ল্যাটের দরজা বাইরে থেকে তালাবদ্ধ ছিল।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গে মরদেহ পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য।

👩‍👧‍👦 নিহতের পারিবারিক তথ্য ও অভিযোগ

নিহত সুমির ছোট বোন রুবি আক্তার নুপুর জানান, তাদের গ্রামের বাড়ি পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার বাঁশবুনিয়া গ্রামে
সুমি দীর্ঘদিন ধরে স্বামী রাসেলকে নিয়ে উত্তর বাড্ডায় ভাড়া থাকতেন। এক বছর আগে সুমি নিজের পছন্দে রাসেলকে বিয়ে করেন। তবে পরিবারের সঙ্গে তার তেমন যোগাযোগ ছিল না, শুধুমাত্র মায়ের সঙ্গে ফোনে কথা বলতেন।

৯ জুনের পর থেকে সুমির মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় তার মা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। পরে আত্মীয়রা খোঁজ নিতে গেলে বাসার দরজা তালাবদ্ধ পান।
অবশেষে রবিবার রাতে পাশের এক ভাড়াটিয়ার মাধ্যমে দুর্গন্ধের তথ্য জানতে পেরে পুলিশ ডেকে দরজা ভেঙে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

রুবি আক্তারের অভিযোগ, রাসেল পরিকল্পিতভাবে সুমিকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে দরজা তালাবদ্ধ করে পালিয়ে গেছেন।

👮‍♀️ পুলিশের বক্তব্য ও তদন্ত

বাড্ডা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ফাতেমা সিদ্দিকা সোমা জানিয়েছেন,

“রবিবার রাতেই খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, সুমিকে কয়েকদিন আগে হত্যা করা হয়েছে, কারণ মরদেহটি অর্ধগলিত অবস্থায় পাওয়া গেছে।”

তিনি আরও বলেন, ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ নিশ্চিতভাবে জানা যাবে। মামলার প্রস্তুতি চলছে এবং স্বামী রাসেলকে খুঁজে বের করতে অভিযান শুরু হয়েছে।

🔗 আরও পড়ুন:

  • 👉 [চাঁপাইনবাবগঞ্জে নিখোঁজ যুবকের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার]
  • 👉 [রাজধানীতে গৃহবধূ খুন, স্বামী পলাতক]
  • 👉 [নগরীর অপরাধ প্রবণতা নিয়ে প্রতিবেদন]

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *