ফোর্ডোতে ইরানি পারমাণবিক স্থাপনায় হামলার সম্ভাবনা, ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে

⚠️ ইরানের পারমাণবিক কেন্দ্র লক্ষ্য করে যুক্তরাষ্ট্রের হামলার পরিকল্পনা? সম্ভাব্য পদক্ষেপ ঘিরে বাড়ছে উত্তেজনা

ইরানের ফোর্ডো পারমাণবিক স্থাপনায় বোমা হামলার পরিকল্পনা বিবেচনা করছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প—এমনটাই দাবি করেছে মার্কিন প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম The New York Times

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে শক্তিশালী ‘বাঙ্কার বাস্টার’ বোমা—Massive Ordnance Penetrator (MOP)—ব্যবহারেই এই হামলা সম্ভব, যা বহন করতে পারে শুধু মার্কিন B-2 বোমারু বিমান।

🇮🇱 ইসরাইল-ইরান পাঁচ দিনের সংঘাতের পর যুক্তরাষ্ট্রের কৌশল পরিবর্তন?

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ইসরাইল ও ইরানের মধ্যে চলমান পাঁচ দিনের রক্তক্ষয়ী সংঘাতের পর প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছেন। প্রশ্ন হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি ইসরাইলকে সহায়তা করে ইরানের পারমাণবিক প্রকল্প ধ্বংসে যুক্ত হবে কিনা। এটি হলে, ওয়াশিংটন আনুষ্ঠানিকভাবে মধ্যপ্রাচ্যের নতুন সংঘাতে জড়িয়ে পড়বে।

⚖️ আগে যুক্তরাষ্ট্র যে অবস্থানে ছিল

প্রসঙ্গত, এর আগে ট্রাম্প প্রশাসন একাধিকবার জানিয়েছিল, ইরানের বিরুদ্ধে ইসরাইলের হামলায় যুক্তরাষ্ট্র কোনোভাবেই অংশ নিচ্ছে না। এমনকি ট্রাম্প নিজেও আগে বলেছেন, ইরানের সঙ্গে পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণ চুক্তি পুনরুজ্জীবিত করার ব্যাপারে তিনি আগ্রহী।

তবে হঠাৎ করেই ট্রাম্পের হুশিয়ারি—“ইরানিদের তেহরান ত্যাগ করতে হবে”—নতুন করে উত্তেজনা বাড়িয়ে তুলেছে।

🕊️ আলোচনার চেষ্টা নাকি কূটনৈতিক ভ্রান্তি?

সূত্রমতে, এক পর্যায়ে ট্রাম্প তার মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক দূত স্টিভ উইটকফ এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স-কে ইরানি প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনার প্রস্তাব দিতে বলেন। ধারণা করা হচ্ছে, ইরানের পক্ষে আলোচনায় অংশ নিতে পারেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি

তিনি এক বিবৃতিতে বলেন—

“যদি ট্রাম্প সত্যিই কূটনীতিতে আগ্রহী হন এবং সংঘাত থামাতে চান, তাহলে ভবিষ্যৎ পদক্ষেপগুলো ফলপ্রসূ হতে পারে।”

🕊️ আলোচনার সম্ভাবনার মাঝেই বিপরীত সুর ট্রাম্পের কণ্ঠে

অন্যদিকে, ট্রাম্প বলেছেন—

“আমি মনে করি, ইরান এখন আলোচনা করতে চায়। তারা একটি চুক্তিতে পৌঁছাতে আগ্রহী।”

তবে এর কিছু সময় পরেই তিনি G7 সম্মেলন থেকে তড়িঘড়ি করে বেরিয়ে যান এবং বলেন—

“আমি এখান থেকে বের হলেই কিছু একটা করব। কিন্তু এখনই চলে যেতে হবে।”

তবে তিনি কী করতে যাচ্ছেন, তা স্পষ্ট করেননি।

📰 উৎসহীন তথ্য ঘিরে বিতর্ক

আল জাজিরা-র এক বিশ্লেষণ বলছে, The New York Times-এর প্রতিবেদনে কোনো নির্দিষ্ট সূত্র বা নাম উল্লেখ করা হয়নি। এতে সংবাদ নয়, বিশ্লেষণই প্রাধান্য পেয়েছে। ফলে সত্যতা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *