বলিউড অভিনেত্রী কারিশমা কাপুরের প্রাক্তন স্বামী ও শিল্পপতি সঞ্জয় কাপুরের মরদেহ মৃত্যুর পাঁচ দিন পরেও ভারতে আসেনি। বর্তমানে লন্ডনে তার মরদেহের ময়নাতদন্ত প্রক্রিয়া চলছে, যা শেষ না হওয়া পর্যন্ত দেহ ভারতে পাঠানো সম্ভব হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন তার পরিবার।
ভারতীয় গণমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস সূত্রে জানা গেছে, ময়নাতদন্ত শেষ হওয়ার পরই মরদেহ দিল্লিতে আনা হবে, যেখানে অনুষ্ঠিত হবে তার শেষকৃত্য।
নাগরিকত্ব ও আইনি জটিলতায় মরদেহ ফেরত বিলম্ব
সঞ্জয় কাপুর মার্কিন নাগরিক হওয়ায় আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন নীতিমালার কারণে মরদেহ ভারত আনতে অতিরিক্ত সময় লাগছে। তার তৃতীয় স্ত্রী মডেল প্রিয়া সচদেব গণমাধ্যমকে জানান, “আন্তর্জাতিক আইনের অধীনে মরদেহ দেশে ফেরাতে একাধিক অনুমোদনের প্রক্রিয়া চলছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত মরদেহ হস্তান্তর সম্ভব নয়।”
শেষকৃত্য দিল্লিতে, উপস্থিত থাকবেন কারিশমা কাপুর ও সন্তানরা
পরিবার জানিয়েছে, সঞ্জয়ের শেষকৃত্যের আয়োজন করা হবে দিল্লিতে তার পারিবারিক বাসভবনে। এ সময় উপস্থিত থাকবেন প্রাক্তন স্ত্রী কারিশমা কাপুর ও তাদের দুই সন্তান।
হৃদ্রোগে মৃত্যু, মৌমাছির হুলে ভূমিকা থাকতে পারে
৫৩ বছর বয়সে বৃহস্পতিবার (১২ জুন) লন্ডনে মৃত্যু হয় সঞ্জয় কাপুরের। মৃত্যুর কিছুক্ষণ আগেই তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুজরাটে বিমান দুর্ঘটনা নিয়ে শোক প্রকাশ করেছিলেন।
পরে লন্ডনের একটি মাঠে পোলো খেলাকালীন তিনি হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। ম্যাচ চলাকালীন ঘোড়ার পিঠে থাকা অবস্থায় একটি মৌমাছি তার গলায় ঢুকে পড়ে, যা তিনি অনিচ্ছাকৃতভাবে গিলে ফেলেন। এরপর শারীরিকভাবে ভীষণ অসুস্থ হয়ে পড়লে দ্রুত হাসপাতালে নেয়া হয়।
চিকিৎসকরা জানান, তিনি হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। তবে মৌমাছির হুল থেকে তাৎক্ষণিক অ্যালার্জি নাকি স্ট্রেসজনিত কারণে হার্ট অ্যাটাক হয়েছে— সে বিষয়ে নিশ্চিত হতে পারেননি চিকিৎসকরা। এই কারণেই ময়নাতদন্ত চলছে লন্ডনের হাসপাতালে।