মুড়ি ও চায়ের যুগলবন্দি বাঙালির প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। আবার বিকেলের নাস্তায় এক বাটির ঝালমুড়ি মানেই ভোজনরসিকদের জন্য বাড়তি আনন্দ। কিন্তু জানেন কি, এই সাধারণ মুড়ির রয়েছে অসাধারণ স্বাস্থ্যগুণ?
পুষ্টিবিদ ও চিকিৎসকদের মতে, নিয়মিত মুড়ি খাওয়ার অভ্যাস নানা ধরনের স্বাস্থ্য উপকারে আসে, বিশেষ করে হজমে সহায়ক ও ওজন নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
🩺 মুড়ি খাওয়ার স্বাস্থ্য উপকারিতা
১. গ্যাস্ট্রিক সমস্যায় দারুণ কার্যকর
মুড়ি পেটের অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। গ্যাস্ট্রিক বা অ্যাসিডিটির সমস্যা থাকলে পানিতে ভেজানো মুড়ি খেলে দ্রুত আরাম মেলে। এটি পেট ঠান্ডা রাখে এবং অতিরিক্ত অ্যাসিড ক্ষরণ রোধ করে।
২. হাড় ও দাঁত মজবুত করে
মুড়িতে থাকা ক্যালসিয়াম ও আয়রন হাড়ের গঠন শক্তিশালী করতে সহায়তা করে। চিবিয়ে খাওয়ার ফলে দাঁত ও মাড়ির ব্যায়াম হয়, যা দাঁতের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।
৩. ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে
কম ক্যালোরিযুক্ত মুড়ি পেট ভরলেও ওজন বাড়ায় না। যারা হালকা কিন্তু স্বাস্থ্যকর স্ন্যাক্স খুঁজছেন, তাদের জন্য মুড়ি হতে পারে আইডিয়াল বিকল্প। এটি খেলে দীর্ঘ সময় পেট ভর্তি অনুভূত হয়, ফলে অতিরিক্ত খাওয়ার প্রবণতা কমে।
৪. রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে
মুড়িতে সোডিয়ামের মাত্রা অত্যন্ত কম, তাই এটি উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের জন্য নিরাপদ। প্রতিদিন পরিমাণমতো মুড়ি খেলে রক্তচাপ স্থিতিশীল রাখতে সাহায্য করে।