আজ (২০ জুন) বিশ্ব শরণার্থী দিবস। জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থা (UNHCR) ২০০১ সাল থেকে এই দিনে বিশ্বজুড়ে শরণার্থীদের প্রতি সহানুভূতি এবং তাদের অধিকার সুরক্ষায় এই দিবস পালন করে আসছে। বাংলাদেশেও প্রতিবছর যথাযোগ্য মর্যাদায় বিশ্ব শরণার্থী দিবস পালন করা হয়।
তথ্য অনুসারে, ২০২৪ সালের শেষে বিশ্বজুড়ে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা প্রায় ১২২.১ মিলিয়ন, যা রেকর্ড পরিমাণ। এর মধ্যে ৪২.৭ মিলিয়ন মানুষ আন্তর্জাতিক শরণার্থী হিসেবে স্বীকৃত, বাকি অভ্যন্তরীণ বাস্তুচ্যুত ও আশ্রয়প্রার্থী। সুদান, মিয়ানমার, ইউক্রেনসহ বিভিন্ন সংঘাতপূর্ণ অঞ্চলের অবস্থা এই সংখ্যার বৃদ্ধিতে মূল ভূমিকা রেখেছে।
UNHCR হাই কমিশনার ফিলিপো গ্রান্ডি বলেছেন, “শরণার্থীদের সম্মান জানানো মানে শুধু তাদের কথা বলা নয়, বরং তাদের কথা শোনা, অধিকার রক্ষা করা এবং তাদের জন্য টেকসই ভবিষ্যৎ গড়ার সুযোগ দেওয়া।”
বিশ্বজুড়ে বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি মানবিক সহায়তার তহবিল সংকট বাড়ছে। জাতিসংঘ সতর্ক করেছে, অর্থাভাবে অনেক জরুরি প্রকল্প বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। বিশেষত শিশু ও নারী শরণার্থীরা সবচেয়ে ঝুঁকিতে রয়েছেন।
বাংলাদেশে বর্তমানে নিবন্ধিত রোহিঙ্গা শরণার্থীর সংখ্যা এক কোটি ১৩৩ হাজারের বেশি। চলতি বছর মার্চে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস কক্সবাজার সফরে এসে শরণার্থীদের দুর্দশা উপলব্ধি করেন।
গুতেরেস বলেন, “এই মানুষগুলো টিকে থাকার জন্য সংগ্রাম করছে। যদি এখনই আমরা সাহায্য না করি, তারা অনাহারে মারা যাবে।”
তিনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি সহায়তার আহ্বান জানিয়ে বলেন, “এখন দরকার শুধু সহানুভূতি নয়, বাস্তবিক সহায়তা।”