চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলায় ছুরিকাঘাতে আহত মো. মোস্তফা (২৭) নামে এক অটোরিকশা চালক রাজধানীর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। বৃহস্পতিবার (২০ জুন) ভোরে তার মৃত্যু হয় বলে নিশ্চিত করেছে পরিবার।
এর আগে, গত ১২ জুন রাতে উপজেলার পাইকপাড়া উত্তর ইউনিয়নের শাশিয়ালী গ্রামের নিজ বাড়ির সামনে দুর্বৃত্তদের হামলার শিকার হন মোস্তফা। তিনি ওই গ্রামের মৃত দিদার হোসেনের ছেলে। পেশায় তিনি একজন সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালক এবং এক সন্তানের জনক ছিলেন।
পূর্ব বিরোধ থেকেই প্রাণ গেল মোস্তফার
স্থানীয় সূত্র ও পরিবারের বরাতে জানা যায়, পূর্ব শত্রুতার জেরে ঘটনার রাতে মোস্তফাকে বাড়ি থেকে ডেকে নেয় প্রতিপক্ষ সোহেল ও তার সহযোগীরা। কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে সোহেল, তার ভাই ফয়সাল ও রুবেল এবং তাদের বাবা আবুল হোসেনসহ পরিবারের কয়েকজন সদস্য মোস্তফাকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়।
স্থানীয়দের সহায়তায় আহত মোস্তফাকে তাৎক্ষণিকভাবে চাঁদপুর সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকা মেডিকেলে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে সাতদিন ধরে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে অবশেষে বৃহস্পতিবার ভোরে তিনি মারা যান।
মামলা ও পুলিশি অভিযান
এ ঘটনায় নিহত মোস্তফার ভাই আলাউদ্দিন ১৬ জুন ফরিদগঞ্জ থানায় চারজনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। অভিযুক্ত সবাই একই পরিবারের সদস্য। স্থানীয়দের অভিযোগ, এই পরিবারটি দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় মাদক কারবারের সঙ্গে জড়িত এবং তাদের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে।
ফরিদগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ শাহ আলম বলেন, “ঘটনার পরপরই অভিযান চালিয়ে তিন আসামিকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। তবে মামলার প্রধান আসামি সোহেল এখনো পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।”
স্থানীয়দের ক্ষোভ
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকাবাসী জানিয়েছেন, সোহেল ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ থাকলেও তারা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ায়। তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।