ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার দেওড়া গ্রামে জমকালো আয়োজনে হেলিকপ্টারে চড়ে বিয়ে করলেন কুয়েত প্রবাসী আতিয়ার খলিফা। শুক্রবার (২০ জুন) বিকেলে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষে হেলিকপ্টারে নববধূকে নিয়ে বাড়িতে ফিরলে এলাকাজুড়ে সৃষ্টি হয় উৎসবমুখর পরিবেশ। বর-কনেকে এক নজর দেখতে ভিড় করেন শত শত গ্রামবাসী।
বাবা-মায়ের স্বপ্ন ছিল হেলিকপ্টারে বিয়ে
স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, দেওড়া গ্রামের নূর ইসলাম খলিফার ছেলে আতিয়ার খলিফার সঙ্গে একই উপজেলার গজারিয়া গ্রামের ফিরোজ শেখের মেয়ে আমেনা খাতুনের বিয়ের আয়োজন হয়। বাবা-মায়ের বহুদিনের ইচ্ছা ছিল ছেলে যেন হেলিকপ্টারে চড়ে বিয়ে করেন। সেই স্বপ্ন পূরণে প্রায় ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা ব্যয়ে দুই ঘণ্টার জন্য হেলিকপ্টার ভাড়া করেন আতিয়ার।
বিয়ের দিন ছিল অন্যরকম
দুপুরে দেওড়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ থেকে হেলিকপ্টারে চড়ে কনের বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেন বর আতিয়ার। গজারিয়া গ্রামের মাঠে হেলিকপ্টার অবতরণের পর বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়। পরে বিকেলে নববধূকে সঙ্গে নিয়ে ফের হেলিকপ্টারে নিজ এলাকায় ফিরে আসেন তিনি।
এই ব্যতিক্রমী আয়োজন দেখতে দেওড়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ভিড় করেন উৎসুক জনতা। অনেকেই মোবাইলে ছবি ও ভিডিও ধারণ করেন। হেলিকপ্টার অবতরণের মুহূর্তটিও স্থানীয়দের জন্য ছিল অভাবনীয় এক দৃশ্য।
জনতার প্রতিক্রিয়া
স্থানীয় বাসিন্দা আক্কাস বেপারী বলেন, “জীবনে প্রথমবার হেলিকপ্টার এত কাছে থেকে দেখলাম। আগে পায়ে হেঁটে বা ভ্যানে করে বিয়ে হতো, এখন তো হেলিকপ্টারে!”
অন্য এক গ্রামবাসী গোলাম মাওলা বলেন, “এই আয়োজন আগে কখনও দেখিনি। পুরো গ্রামে এক উৎসবের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে। ছেলের এমন ভালোবাসায় বাবা-মায়ের স্বপ্ন পূরণ দেখে সত্যিই আনন্দিত।”
বরের অনুভূতি
প্রবাসী বর আতিয়ার খলিফা বলেন, “বাবা-মার স্বপ্ন ছিল হেলিকপ্টারে বিয়ে করার। তাঁদের খুশি করতে এই আয়োজন করেছি। আমি নিজেও খুব আনন্দিত, কারণ জীবনে বড় কিছু করতে পারলে বাবা-মার মুখে হাসি ফুটে।”
আরও পড়ুন: