রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানায় দায়ের করা আলোচিত ওমর হত্যা মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এবং আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা শাজাহান খানকে দুই দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত।
সোমবার (২৩ জুন) সকালে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তাদের হাজির করে রিমান্ড শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। শুনানির পর আদালত তাদের ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
শুনানিতে শাজাহান খানের অভিযোগ
রিমান্ড শুনানির সময় শাজাহান খান অভিযোগ করে বলেন, “এই মামলাগুলো রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) বিএনপি ঘনিষ্ঠ হওয়ায় আমাদের বিরুদ্ধে ‘ভুতুড়ে’ মামলা দিয়ে যাচ্ছেন।”
তবে আদালত তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি পরিষ্কার করে বলেন, “পিপির কাজ মামলা করা নয়, বরং আদালতে রাষ্ট্রের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করা।”
পিপির জবাব
পিপি এ সময় বলেন, “এই নেতারাই গণমাধ্যমে বিভিন্ন সময়ে উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়েছেন, যা হত্যাকাণ্ডে প্ররোচনার জন্য যথেষ্ট ছিল। এখন তারা দায় এড়িয়ে পিপিদের ওপর দোষ চাপানোর চেষ্টা করছেন, যা অনুচিত।”
অন্যান্য মামলায় রিমান্ড
- একই দিনে কুষ্টিয়া-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আ কা ম সারওয়ার জাহান বাদশাকে মোহাম্মদপুর থানায় দায়ের করা একটি মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
- পল্টন থানার একটি মামলায় সাবেক প্রতিমন্ত্রী এ বি এম তাজুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়।
- একই থানার বদরুল ইসলাম হত্যা মামলায় রিয়ার অ্যাডমিরাল (অব.) সোহাইলকে ৩ দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত।
- এ ছাড়া সাবেক এমপি কাজী মনিরুল ইসলাম মনুকে ১ দিনের রিমান্ডে দিয়েছেন বিচারক।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা শুনানিতে বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ছত্রছায়ায় সংগঠিত হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্তরা অর্থায়ন, পরিকল্পনা এবং উসকানির মাধ্যমে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত ছিলেন। নেতাকর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে তারা গণমাধ্যমে বারবার উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়েছেন বলেও দাবি করা হয়।