আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বিদেশে অবস্থানরত দলটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এবং তাঁর স্ত্রী নূরান ফাতেমার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন আদালত।
সোমবার (২৩ জুন), দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের প্রেক্ষিতে ঢাকার মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. জাকির হোসেন গালিব এই আদেশ দেন।
🔍 আগেই জব্দ হয়েছিল ব্যাংক হিসাব
এর আগে ২০২৫ সালের ১৬ জানুয়ারি, সাবেক এই মন্ত্রী ও তাঁর পরিবারের নামে থাকা ৭৭টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করে আদালত। এরপর রোজার ঈদে হাছান মাহমুদকে লন্ডনের একটি মসজিদে ঈদের নামাজ আদায় করতে দেখা গেছে বলে গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
📑 কী বলছে দুদকের অভিযোগ?
দুদকের সহকারী পরিচালক আল-আমিন দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার দুটি আবেদন দাখিল করেন।
- হাছান মাহমুদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি মন্ত্রী ও এমপি থাকাকালে ১ কোটি ১১ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন।
- তাঁর নিজস্ব, যৌথ ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের নামে পরিচালিত ৯টি ব্যাংক হিসাবে ৩৯ কোটি ৭৬ লাখ টাকার অস্বাভাবিক লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে।
এ বিষয়ে দুদক ২০২৫ সালের ৬ এপ্রিল অর্থ পাচারের অভিযোগে একটি মামলা করে। তদন্তে প্রতিবন্ধকতা এড়াতেই বিদেশ গমন নিষিদ্ধের আবেদন জানানো হয়।
👩💼 স্ত্রীর বিরুদ্ধেও কোটি কোটি টাকার লেনদেনের অভিযোগ
নূরান ফাতেমার বিরুদ্ধে অভিযোগে বলা হয়েছে, তিনি স্বামী হাছান মাহমুদের ক্ষমতা ব্যবহার করে ৫ কোটি ৫২ লাখ টাকার সম্পদের মালিকানা অর্জন করেন।
তাঁর নামে থাকা ৫৬টি ব্যাংক হিসাবে ৬৮৩ কোটি ১৫ লাখ টাকার অস্বাভাবিক লেনদেন শনাক্ত করেছে দুদক।
এই তথ্যের ভিত্তিতে ৬ এপ্রিল দুদক তাঁর বিরুদ্ধেও মামলা দায়ের করে এবং তদন্ত সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার স্বার্থে বিদেশযাত্রা নিষেধাজ্ঞা চায়, যা আদালত মঞ্জুর করেন।