চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার চাপাতলী এলাকায় নিজ বাড়িতে এক বৃদ্ধা নারীকে শ্বাসরোধে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। ঘটনার সময় বাড়িতে একা ছিলেন তিনি। এসময় ঘরের আলমারি ভেঙে সাড়ে চার লাখ টাকা এবং গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র লুট করা হলেও স্বর্ণালঙ্কার অক্ষত থাকায় এটিকে শুধুমাত্র ডাকাতি নয়, বরং পূর্বপরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড বলে মনে করছে পুলিশ।
ঘটনার বিস্তারিত
বুধবার (২৫ জুন) রাতে উপজেলার চাপাতলী প্রধানিয়া বাড়িতে মমতাজ বেগম (৬৫) নামে ওই বৃদ্ধাকে হত্যা করা হয়। নিহতের ছেলে সোহেল প্রধানিয়া জানান, ঘটনার সময় তিনি পারিবারিক ইটভাটায় কর্মরত ছিলেন। পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা কুমিল্লায় বেড়াতে গিয়েছিলেন। মমতাজ বেগম বাড়িতে একাই ছিলেন। রাত সাড়ে ৯টার দিকে তিনি তার মেয়ের সঙ্গে মোবাইলে কথা বলেন, এরপরই এই হত্যাকাণ্ড ঘটে থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
রাত সাড়ে ১১টায় সোহেল বাড়ি ফিরে মায়ের মরদেহ ঘরের বাইরে ঝোপে পড়ে থাকতে দেখেন। অথচ তার দাবি, হত্যাকাণ্ডটি ঘটেছে ঘরের দালানের ভেতরে। তিনি এটিকে ডাকাতির ঘটনা নয়, একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড বলে উল্লেখ করেন।
পুলিশের তদন্ত ও প্রাথমিক ধারণা
চাঁদপুরের পুলিশ সুপার মুহম্মদ আব্দুর রকিব সাংবাদিকদের জানান, দুর্বৃত্তরা ঘরের বাথরুমের ভেন্টিলেটর ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে এবং বৃদ্ধাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে। পরে স্টিলের আলমারি ভেঙে সাড়ে চার লাখ টাকা এবং কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র নিয়ে যায়। তবে স্বর্ণালঙ্কার স্পর্শ না করায় পুলিশ এটিকে সুপরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড বলে মনে করছে।
তিনি বলেন, “এটি শুধুমাত্র ডাকাতি নয়, পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। আমরা এরইমধ্যে তদন্ত শুরু করেছি। অপরাধীদের শনাক্ত করে দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।”
ময়নাতদন্ত ও মামলা প্রক্রিয়া
ঘটনার পর বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত কচুয়া থানায় কোনো মামলা হয়নি। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।