বর্ষা মৌসুমে নতুন ধান বাজারে আসলেও চালের খুচরা মূল্য কমার পরিবর্তে আরও বেড়েছে। পাশাপাশি সপ্তাহজুড়ে বেড়েছে বেশ কয়েকটি সবজির দামও। তবে কিছুটা স্বস্তি মিলেছে মুরগির বাজারে, যেখানে দাম কমতির দিকে।
চালের বাজারে অস্বাভাবিক ঊর্ধ্বগতি
শুক্রবার (২৭ জুন) কেরানীগঞ্জের আগানগর, রাজধানীর নয়াবাজার ও মোহাম্মদপুর টাউন হল বাজারে সরেজমিনে দেখা যায়, চালের দাম বেড়েছে ২ থেকে ৮ টাকা পর্যন্ত। মোটা চালের কেজি ২-৩ টাকা ও সরু চালের কেজিতে বেড়েছে ৭-৮ টাকা।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, ধান সংগ্রহ ও মিলে সরবরাহ চলমান থাকলেও ঈদের পর থেকেই প্রতিবস্তা চালের দাম ৪০০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। সরবরাহ ঘাটতি না থাকলেও বাজারে মনিটরিংয়ের অভাবে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বলে জানান তারা।
বর্তমানে মিনিকেট চাল বিক্রি হচ্ছে ৮০-৮৫ টাকা কেজি, নাজিরশাইল ৮০-৯০ টাকা, পাইজাম ৬২ টাকা, গুটি স্বর্ণা ৫৪ টাকা, আটাইশ ৫৮-৬০ টাকা এবং পোলাও চাল ১১৬-১১৮ টাকা কেজি।
সবজির বাজারেও ঊর্ধ্বমুখী চাপ
পাইকারি বাজারে দাম বাড়ায় খুচরা বাজারেও প্রভাব পড়েছে সবজির দামে। টমেটো বিক্রি হচ্ছে ১০০-১২০ টাকা, বরবটি ৬০-৮০ টাকা, করলা ৮০ টাকা, ঢ্যাঁড়স ও পটোল ৪০-৫০ টাকা, আলু ২৫ টাকা ও বেগুন ৮০ টাকা কেজি দরে। কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায় এবং ধনেপাতা ১৫০ টাকা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪০০ টাকা কেজিতে।
সবজি বিক্রেতারা বলছেন, বর্ষাকালীন অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে দেশের বিভিন্ন এলাকায় ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় সরবরাহ কমেছে, ফলে দাম বেড়েছে।
মুরগির দামে স্বস্তি
বাজারে মুরগির দাম কিছুটা কমেছে। ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকা, সোনালি মুরগি ২৮০-৩০০ টাকা, লেয়ার ৩০০ টাকা এবং দেশি মুরগি ৬০০-৬৫০ টাকা কেজিতে।
গরু ও খাসির মাংসে স্থিতিশীলতা
মাংসের বাজারে তেমন পরিবর্তন নেই। গরুর মাংস কেজি প্রতি ৭৮০ টাকা, খাসি ১,২০০ টাকা এবং ছাগল বিক্রি হচ্ছে ১,১০০ টাকা কেজিতে।
আদা-রসুনের বাজার চড়া, পেঁয়াজে স্থিতিশীলতা
দেশি পেঁয়াজের দাম ৫০-৬০ টাকা কেজি হলেও আদা ও রসুনের দাম বেড়েছে। বর্তমানে দেশি আদা ১২০-১৮০ টাকা এবং রসুন ১১০-১৪০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে, যা গত সপ্তাহের তুলনায় ২০-৩০ টাকা বেশি।
বিক্রেতারা জানান, সরবরাহ কমে যাওয়া এবং চাহিদা কিছুটা বাড়ার কারণে আদা-রসুনের বাজারে এই বৃদ্ধির দেখা যাচ্ছে।