নাজমুল হোসেন শান্তর টেস্ট অধিনায়কত্ব ছাড়ার সিদ্ধান্ত, নতুন করে তিন ফরম্যাটে নেতৃত্ব বিভাজন!

বাংলাদেশ ক্রিকেটে আবারও শুরু হলো তিন ফরম্যাটে তিন অধিনায়কের অধ্যায়। ইনিংস ও ৭৮ রানে কলম্বো টেস্টে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হারার পরই টেস্ট নেতৃত্ব থেকে সরে দাঁড়ালেন নাজমুল হোসেন শান্ত। এর আগে তিনি স্বেচ্ছায় টি-টোয়েন্টির অধিনায়কত্ব ছাড়েন এবং ওয়ানডের নেতৃত্বও ছাড়তে চেয়েছিলেন, তবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) অনুরোধ করায় তিনি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি পর্যন্ত দায়িত্ব চালিয়ে যান। শেষ পর্যন্ত সেই বোর্ডই তাকে জানানো ছাড়াই ওয়ানডে অধিনায়কত্ব থেকে সরিয়ে দেয়।

নতুন ওয়ানডে অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ। ফলে ওয়ানডে, টেস্ট ও টি-টোয়েন্টিতে তিনজন ভিন্ন অধিনায়ক দিয়ে এগোচ্ছে বাংলাদেশ দল—একটি বিতর্কিত ও অস্বস্তিকর সিদ্ধান্ত বলে মনে করছেন অনেকেই।

শান্তর ঘনিষ্ঠ সূত্র থেকে জানা যায়, শ্রীলঙ্কা সফরের সময় থেকেই বোর্ডের কিছু কর্মকাণ্ডে অখুশি ছিলেন তিনি। এ কারণেই হয়তো টেস্ট নেতৃত্ব থেকেও সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন। তবে বিসিবি কর্তারা শান্তর এই ঘোষণায় কিছুটা বিস্মিত। রংপুরে এক অনুষ্ঠানে বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল জানান, তিনি এই সিদ্ধান্ত সম্পর্কে আগে কিছু জানতেন না।

শান্তর ব্যাখ্যা: দলীয় স্বার্থে সিদ্ধান্ত

শান্ত জানান, দলের সামগ্রিক পরিবেশ এবং ড্রেসিংরুমে স্থিতিশীলতা বজায় রাখার কথা মাথায় রেখেই তিনি নেতৃত্ব ছেড়েছেন। তার মতে, তিন ফরম্যাটে তিন অধিনায়ক হওয়া উচিত নয়। বরং ওয়ানডে বা টি-টোয়েন্টি অধিনায়কের কেউ একজনই টেস্ট দলের দায়িত্ব নিতে পারেন।

কে হবেন নতুন টেস্ট অধিনায়ক?

যদিও এখনও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসেনি, তবে ক্রিকেট সংশ্লিষ্টদের ধারণা, মেহেদী হাসান মিরাজই হতে পারেন নতুন টেস্ট অধিনায়ক। পাশাপাশি টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক লিটন দাসও আছেন বিবেচনায়।

বাংলাদেশ ক্রিকেটের নেতৃত্ব নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠছে, কীভাবে সঠিক সমন্বয় এবং নেতৃত্বের ধারাবাহিকতা ফিরিয়ে আনা সম্ভব। শান্তর বিদায় সেই বিতর্ককে আরও উসকে দিলো।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *