ইরানের সঙ্গে চলমান পারমাণবিক আলোচনার গুরুত্বপূর্ণ সময়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প টেলিফোনে কথা বলেছেন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে। সোমবার (৯ জুন) এ আলোচনায় ইরান ইস্যুসহ বিভিন্ন দ্বিপাক্ষিক বিষয় উঠে আসে বলে নিশ্চিত করেছে দুই দেশের সরকার।
রয়টার্স ও টাইমস অব ইসরায়েল-এর প্রতিবেদনে বলা হয়, দুই নেতার মধ্যে প্রায় ৪০ মিনিটের ফোনালাপ হয়। আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল ইরানের পরমাণু কর্মসূচি এবং তেহরানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক কূটনৈতিক প্রচেষ্টা।
ইরানকে যুক্তিসংগত প্রস্তাব দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র
ফোনালাপ শেষে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় জানায়, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুকে আশ্বস্ত করেছেন যে, যুক্তরাষ্ট্র ইরানের কাছে একটি যৌক্তিক ও গ্রহণযোগ্য প্রস্তাব পাঠিয়েছে এবং খুব শিগগিরই তেহরানের জবাব প্রত্যাশা করছে।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আরও জানান, চলতি সপ্তাহের শেষ দিকে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে আরও একটি আলোচনা পর্ব অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে আলোচনার নির্দিষ্ট বিষয়বস্তু কিংবা নেতানিয়াহুর প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।
সাংবাদিকদের সামনে ট্রাম্পের মন্তব্য
হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ট্রাম্প বলেন, “আমাদের আলোচনা অত্যন্ত গঠনমূলক ছিল। আমরা ইরান প্রসঙ্গ ছাড়াও বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু নিয়ে কথা বলেছি।”
তিনি আরও জানান, পরবর্তী দফার ইরান-যুক্তরাষ্ট্র আলোচনা আগামী বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হতে পারে। এ আলোচনার উদ্দেশ্য হচ্ছে পারমাণবিক চুক্তির সম্ভাব্য নতুন কাঠামো তৈরি করা, যাতে আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও আন্তর্জাতিক শান্তি রক্ষা করা যায়।
মাস্কাটে ইরান-মার্কিন পরোক্ষ আলোচনা
অন্যদিকে, ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইসমাইল বাঘাই জানিয়েছেন, ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে পরোক্ষ আলোচনা আগামী রবিবার ওমানের রাজধানী মাস্কাটে অনুষ্ঠিত হওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। এই আলোচনা নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলে দিতে পারে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্ট কূটনীতিকরা।