উপদেষ্টার কার্যালয়ে দুর্নীতির অভিযোগে তদন্তের দাবি গণ অধিকার পরিষদের, রাশেদ খানের সরব মন্তব্য

প্রধান উপদেষ্টার এপিএস (ব্যক্তিগত সহকারী) মোয়াজ্জেম হোসেনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ সামনে আসার পর, এ ঘটনায় প্রধান উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের জ্ঞাতসারে না হওয়ার বিষয়টি প্রশ্নবিদ্ধ বলে মন্তব্য করেছেন গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান

তিনি দাবি করেছেন, মোয়াজ্জেম হোসেনের বিরুদ্ধে যেভাবে তদন্ত হচ্ছে, তেমনিভাবে উপদেষ্টা এবং তাঁর দপ্তরের কার্যক্রমও একইভাবে তদন্তের আওতায় আনা জরুরি

“সবচেয়ে বেশি দুর্নীতির অভিযোগ আসছে এই দপ্তর থেকেই”

রাশেদ খান বলেন, “গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, সর্বাধিক দুর্নীতি হয়েছে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের মন্ত্রণালয়ে। এই দপ্তরের অর্থনৈতিক কার্যক্রম ও নীতিনির্ধারণের পেছনে কার কী ভূমিকা রয়েছে, তা স্বচ্ছভাবে খতিয়ে দেখা উচিত।”

“নির্বাচনী তারিখ নির্ধারণ একক সিদ্ধান্ত, গণতন্ত্রের লঙ্ঘন”

তিনি অভিযোগ করে বলেন, “ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মধ্য দিয়ে গঠিত এ সরকার এখন একক সিদ্ধান্ত নিচ্ছে, যা স্বৈরতান্ত্রিক মনোভাবেরই প্রকাশ। নির্বাচনের সম্ভাব্য সময় হিসেবে এপ্রিল মাস ঘোষণা করা হয়েছে, অথচ এ সিদ্ধান্ত কোনো রাজনৈতিক ঐকমত্য ছাড়াই নেওয়া হয়েছে। এটি গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে যায়।”

ভোটার কম উপস্থিতির সুযোগে পরিকল্পিত নির্বাচন?

নতুন নির্বাচন কমিশনের প্রস্তাব অনুযায়ী, যদি ৪০ শতাংশের নিচে ভোট পড়ে, তাহলে পুনঃভোট হবে—এই প্রস্তাব নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেন রাশেদ খান। তার দাবি, “এপ্রিলের প্রচণ্ড গরমে স্বাভাবিকভাবেই ভোটার উপস্থিতি কম থাকবে, আর সেটাই ব্যবহার করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতায় থাকার পথ তৈরি করতে পারে। বিষয়টি ১/১১ কৌশলের পুনরাবৃত্তির মতো মনে হচ্ছে।”

পালিয়ে যাওয়া নেতারা, প্রশ্নে শেখ পরিবার

রাশেদ খান আরও বলেন, “আওয়ামী লীগের পলাতক নেতারা এখনো ধরা পড়েনি, এমনকি শেখ পরিবারের কেউও গ্রেফতার হয়নি। প্রশ্ন হচ্ছে, এই ব্যক্তিরা কীভাবে দেশ ছেড়েছে? কারা তাদের পালাতে সহায়তা করেছে? এসব প্রশ্নের জবাব দিতে হবে বর্তমান প্রশাসনকে।”

তিনি আরও অভিযোগ করেন, “সরকারের বর্তমান উপদেষ্টারা দেশের বাইরে থাকা পলাতক নেতাদের সম্পদ দেখভালের দায়িত্বে রয়েছেন।”

মতবিনিময় সভায় উপস্থিত নেতারা

উক্ত মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন:

  • জেলা সভাপতি: প্রভাষক সাখাওয়াত হোসেন
  • সাধারণ সম্পাদক: জাহিদ ইকবাল রাজন
  • পেশাজীবী পরিষদের সভাপতি: রাসেল আহমেদ
  • ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি: রিহান হোসেন রায়হান

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *