ভারতের গুজরাট রাজ্যের আহমেদাবাদে এয়ার ইন্ডিয়া ফ্লাইট AI-171 এর বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনাটি মাত্র ১০ মিনিটের মধ্যেই ঘটে যায়। বৃহস্পতিবার দুপুরে লন্ডনের উদ্দেশ্যে উড্ডয়ন করা বিমানটি উড়াল দেওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই মেঘানিনগর এলাকায় বিধ্বস্ত হয়। দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখছে তদন্তকারী সংস্থা।
✈️ কী ঘটেছিল সেই ১০ মিনিটে?
বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার আগে ঠিক কোন সময় কী ঘটেছে, তার একটি টাইমলাইন নিচে দেওয়া হলো:
🕜 দুপুর ১:৩০ – উড্ডয়নের প্রস্তুতি
এয়ার ইন্ডিয়ার বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার ফ্লাইট AI-171 আহমেদাবাদের সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল বিমানবন্দর থেকে লন্ডনের উদ্দেশ্যে উড্ডয়নের প্রস্তুতি নিচ্ছিল। এটি তখন রানওয়েতে অবস্থান করছিল।
🕣 দুপুর ১:৩৮ – রানওয়ে ছাড়ে বিমান
উপগ্রহ চিত্র অনুযায়ী, বিমানটি রানওয়ের শেষ প্রান্ত অতিক্রম করে আকাশে উড়াল দেয়। তখনও পাইলট এবং এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোল (ATC)-এর মধ্যে যোগাযোগ চালু ছিল।
🕤 দুপুর ১:৩৯ – বিপদ সংকেত
বিমানের উচ্চতা ছিল ৬২৫ ফুট। হঠাৎ করেই পাইলট “Mayday” সংকেত পাঠান। সংকেত পাঠানোর কয়েক সেকেন্ড পরই বিমানের সঙ্গে সব যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
🕥 দুপুর ১:৪০ – বিধ্বস্ত হয় বিমান
মাত্র এক মিনিটের মধ্যে বিমানটি মেঘানিনগর এলাকার এক আবাসিক অঞ্চলে বিধ্বস্ত হয়। এই এলাকায় একটি মেডিকেল কলেজের হোস্টেল থাকায় হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা।
📊 প্রযুক্তিগত তথ্য ও বিশ্লেষণ
FlightRadar24 অনুসারে, বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার সময় সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে মাত্র ৬৫০ ফুট উপরে ছিল এবং প্রতি মিনিটে ৪০০ ফুট গতিতে নিচে নামছিল। বিশেষজ্ঞদের মতে, এত নিচু উচ্চতায় থাকার কারণে পাইলটের হাতে কোনও রকম প্রতিক্রিয়া জানানোর বা পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার পর্যাপ্ত সময় ছিল না।
যদি বিমানটি ৩৫,০০০ ফুট উঁচুতে থাকত, তাহলে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার সুযোগ থাকত।
🧑✈️ ২৪২ আরোহীর মধ্যে কেবল একজন জীবিত
বিমানটিতে ২৩২ জন যাত্রী এবং ১০ জন ক্রু সদস্য ছিলেন। এদের মধ্যে এখন পর্যন্ত একজন জীবিত উদ্ধার হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তবে সরকারিভাবে এখনো কোনও মৃত্যুর সংখ্যা নিশ্চিত করা হয়নি।
🔍 তদন্ত চলছে, সরকার জানিয়েছে বিস্তারিত আসছে
ভারতের ডিরেক্টোরেট জেনারেল অব সিভিল অ্যাভিয়েশন (DGCA) জানিয়েছে, দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ অনুসন্ধানে ফ্লাইট ডেটা রেকর্ডার (FDR) এবং ককপিট ভয়েস রেকর্ডার (CVR) সংগ্রহের কাজ চলছে।